সন্তানের পরিচয়ে মায়ের নাম ব্যবহার করলে নারীর কী লাভ হবে?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দেশে সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে মায়ের নাম বাধ্যতামূলক বিষয়ে ২০০০ সালের একটি প্রজ্ঞাপন সব ক্ষেত্রে কেন বাস্তবায়ন করা হবে না – তা জানতে চেয়ে সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

কেন বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম বাধ্যতামূলক করা হবেনা – জনস্বার্থ বিষয়ক এমন রিট শুনানির পর সোমবার আদালত এই রুল জারি করে।

রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুবেইদা পারভীন মনে করেন, সন্তানের পরিচয়ে মায়ের নামের অন্তর্ভূক্তি সমাজে নারীর সাম্য ও সমতা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

সন্তানের পরিচয়ে মায়ের নাম অন্তর্ভূক্তি কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়নি বলে জানান মিজ. পারভীন।

তিনি বলেন, “পরিচয়ের ক্ষেত্রে মায়ের নাম বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে ২০০০ সালে একটি সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা সত্ত্বেও ঐ প্রজ্ঞাপনের নির্দেশ সকল ক্ষেত্রে কার্যকর করা হয়নি।”

মায়ের নাম অন্তর্ভূক্তি বাধ্যতামূলক না করার কারণেই বিচার ব্যবস্থার মধ্যেও বিভিন্ন কাগজপত্রে শুধু বাবার নামই ব্যবহার করা হয় বলে মন্তব্য করেন মিজ. পারভীন।

জুবেইদা পারভীনের মতে, সন্তানের পরিচয়ের সাথে মায়ের নাম বাধ্যতামূলকভাবে সংযুক্ত করা সমাজে নারী-পুরুষ সমতা আনার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন।

“সন্তানের নামের সাথে মায়ের নাম সংযুক্ত করে যখন মা’কে সম্মান দেওয়ার সামাজিক রীতি প্রচলিত হবে, তখন নারী নির্যাতন এবং নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রাও কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।”

বর্তমানে নারীরা সমাজে অর্থনৈতিকভাবে আগের চেয়ে অনেক বেশি ভূমিকা রাখলেও সন্তান এবং সমাজের কাছে তার প্রাপ্য পারিবারিক বা সামাজিক মর্যাদা পাচ্ছে না বলে মনে করেন মিজ. পারভীন।

“অনেক সময় দেখা যায় একজন মা তার সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারছে না। কারণ আইনত তিনি সন্তানের অভিভাবক না। অনেক সময় এই অভিভাবকত্ব আদালতের মাধ্যমে নিতে হয়।”

সন্তানের নামের সাথে মায়ের নাম যুক্ত হলে সেটি এই ধরণের জটিলতার অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন এই আইনজীবী।