সন্তানকে মেরে নিখোঁজের গল্প ফেঁদেছিলেন মা!

 

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

‘অভাবের সংসারে ঋণ করে স্বামী গেছেন বিদেশে। সেখানে গিয়েও বেতন পাচ্ছেন না ঠিকমতো। দেবরও সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে প্রবাসে পড়ে আছেন। এরমধ্যে জন্ম হয়েছে কন্যা সন্তানের। তাই এ কন্যাকে ‘অপয়া’ ভেবে জন্মের ১৯ দিন পর বাড়ির পাশের খালে ফেলে দিয়েছি।’ নিখোঁজের পর খাল থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের পর এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মা রহিমা আক্তার রত্মা (২০)।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় কুমিল্লার সিনিয়র চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রাট বেগম রোকেয়া আক্তারের আদালতে তিনি এই স্বীকারোক্তি দেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে শিশু রাবেয়া নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়া।

বাচ্চু মিয়া বলেন, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে খালের পানিতে আমার নাতনির লাশ ভেসে ওঠে। এ খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে আসে এবং লাশের সঙ্গে আমাদের সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। সবার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে আমাদেরকে ছেড়ে দিলেও পুত্রবধূ রত্নাকে রেখে দেন। আজ (শনিবার) শুনতে পেলাম সে নাকি মেয়েকে পানিতে ফেলে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।

মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার শিশুটি নিখোঁজের ঘটনায় ওই বাড়িতে যাই। শুরুতেই শিশুটির মা রত্মার কথায় গড়মিল ছিলো। পরে তিনি স্বীকার করেছেন, নানা টেনশনে পড়ে জিদ করে কন্যাকে পানিতে ফেলে দিয়েছেন। যা আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বলেছেন তিনি।

এ ঘটনায় শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়া মামলার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। শিশুটির ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।