সংলাপের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চেষ্টা করছে সরকার: ইনু

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, সংলাপের মধ্য দিয়ে তার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, ‘সংলাপ কেবল শুরু হয়েছে। আমার বিশ্বাস সংলাপের মধ্য দিয়েই নিবন্ধিত সব দল জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে।’ শনিবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপকে সাধুবাদ জানিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেছেন। আপনারা সংলাপকে চাল হিসেবে গ্রহণ করবেন না। এটাকে চাল হিসেবে নেওয়া হবে দুঃখজনক।’

.ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উদ্দেশে পাঁচটি প্রশ্ন রেখে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘রাজবন্দি কারা? তাদের তালিকা দিন, রাজনৈতিক মামলার সংজ্ঞা কী? নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ ব্যক্তি খোঁজার উপায় কী? এবং সংবিধানের কোন জায়গায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করার বিধান আছে ?’ তিনি বলেন, ‘এই পাঁচটি প্রশ্ন আমি ড. কামাল হোসেনের কাছে উত্থাপন করছি। আশা করি, সদুত্তরের মধ্য দিয়ে অনেক বিভ্রান্তি দূর হবে।’

জাসদ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সাংবিধানিকভাবে নিবন্ধিত কোনও দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই। সুতরাং নির্বাচন ব্যর্থ হবে এটা আমি মনে করি না।’ তিনি বলেন, ‘আলোচনা মধ্য দিয়ে একটি নিষ্পত্তির জায়গায় তৈরি হবে। অনেক বিভ্রান্তি দূর হবে। সেইসঙ্গে অনাস্থাও দূর হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন— কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল মারুফ, নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রিনা, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ আব্দুল আলিম স্বপন, ভেড়ামারা উপজেলা জাসদের সভাপতি এমদাদুল ইসলাম আতা, সাধারণ সম্পাদক এসএম আনছার আলী, জাসদ নেতা বশির উদ্দিন বাচ্চু, পৌর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা বকুল প্রমুখ।