শ্রীলঙ্কার চলমান সংকট থেকে বাংলাদেশকেও শিক্ষা নিতে হবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

শ্রীলঙ্কার চলমান সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোরও আরো সতর্ক হওয়া উচিত। গতকাল রবিবার এক ওয়েবিনারে বিশ্লেষকরা এ অভিমত জানিয়েছেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) ‘শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক সংকট : দক্ষিণ এশীয় অন্য দেশগুলোর জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক ওই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

এতে শ্রীলঙ্কার সর্বোদায়া ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্সের চেয়ারম্যান চানা ডি সিলভা বলেন, শ্রীলঙ্কায় যে পরিস্থিতি চলছে তা নাগরিক হিসেবে তাঁর জন্য বিব্রতকর।

দিনে তিন থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ১০ দিন ধরে গ্যাস একদমই নেই। জ্বালানি, ওষুধ সংকট চলছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও সামাজিক অশান্তি চলছে। এক মার্কিন ডলার ৩৪০ রুপিতে দাঁড়িয়েছে।

চানা ডি সিলভা আরো বলেন, কভিড মহামারির আগে শ্রীলঙ্কায় বিদেশি ঋণের হার জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে। হাম্বানটোটার জন্য তিন শ থেকে চার শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে সেখানে যে বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে সেটিতে বিশ্বের সবচেয়ে কম যাত্রী চলাচল করে। এমন অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের মাসুল গুনছে শ্রীলঙ্কা।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য এক বা একাধিক খাতের ওপর অতিনির্ভরতা বিপজ্জনক। শ্রীলঙ্কা পর্যটন ও রেমিট্যান্সের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। দুটোতেই ধস নেমেছে।

নাজনীন আহমেদ বলেন, শ্রীলঙ্কায় করছাড়ের নীতি জনপ্রিয়তা পেলেও তা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের জন্যও এটি প্রযোজ্য। এ দেশেও অনেক সময় করছাড়ের দাবি ওঠে। দেখা যায়, ওই খাতগুলোতে সরকার আবার ভর্তুকি দিচ্ছে।

সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও এনএসইউর এসআইপিজির প্রফেসারিয়াল ফেলো রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল হক বলেন, শ্রীলঙ্কা সব সময় ভূরাজনীতির কেন্দ্রে ছিল। যখন আইএমএফের কাছে দেশটির যাওয়া প্রয়োজন ছিল তখন যায়নি। তিনি আরো বলেন, শ্রীলঙ্কা যেভাবে চলেছে, সেভাবে চলা উচিত নয়। রাজাপক্ষে উগ্র জাতীয়তাবাদকে উৎসাহিত করেছেন। এখানে শিক্ষা হলো—জনগণকে নিয়ে বেশি খেলবেন না। খেললে বিপদে পড়বেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ