শেষ ইচ্ছে পূরণ হলো না আবদুল কাদেরের

অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে ভুগে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের ‘বদি’ খ্যাত আবদুল কাদের।

জনপ্রিয় এই অভিনেতা শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শোবিজে।  রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।

মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছা পূরণ করে যেতে পারেননি আবদুল কাদের।  তার আগেই ক্যান্সারের কাছে হার মানতে হলো তাকে।

আত্মজীবনী নিয়ে বই প্রকাশের ইচ্ছা ছিল আবদুল কাদেরের। এমনটাই জানিয়েছেন সদ্য প্রয়াত এই অভিনেতার সহকর্মী, প্রকাশক ও অভিনেতা হাফিজুর রহমান সুরুজ।

প্রকাশক সুরুজ বলেন, ‘কাদের ভাইয়ের একটা শেষ ইচ্ছা ছিলে। আত্মজীবনী লিখতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন আমার জীবদদ্দশায় তুই বইটা বের করে দে।  তার এই ইচ্ছার কথা শুনে একটা লোক ঠিক করেছিলাম, তার কাছ থেকে শুনে শুনে আত্মজীবনীর পান্ডুলিপিটা করতে।  পরে নানা কারণেই তা হয়ে ওঠেনি।  এরপর আবদুল কাদের ভাই নিজেই তার আত্মজীবনী লেখা শুরু করেছিলেন।’

সুরুজ আরও বলেন, গত ২০ আগস্টে আব্দুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয়।  তিনি জানিয়েছিলেন, আত্মজীবনীর বেশ কিছু অংশ লিখে ফেলেছেন।  এই একুশে বইমেলায় বইটা বের করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন।  আর এখন তিনি পরপারে।

আবদুল কাদেরের শেষ ইচ্ছা পূরণ হবে কিনা প্রশ্নে এই প্রকাশক বলেন,  ‘প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের অনুমতির সাপেক্ষে অবশ্যই বইটি ছাপার ইচ্ছা আছে। যতটুকু তিনি লিখে গেছেন, সেটুকুই তার ভক্তদের সামনে আনতে প্রস্তুত আমি।’

প্রসঙ্গত,  মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে জন্ম নেয়া আবদুল কাদের ৩ হাজারের মতো টিভিনাটকে অভিনয় করেছেন।  বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী তিনি।

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বহু জনপ্রিয় নাটকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন কাদের। তিনি হুমায়ূন আহমদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বদিভাই চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।

২০০৪ সালে আবদুল কাদের অভিনয় করেন ‘রং নাম্বার’ চলচ্চিত্রে।

দীর্ঘ অভিনয় জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে টেনাশিনাস পদক, মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরাম পদক, অগ্রগামী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী পদক, জাদুকর পিসি সরকার পদক, টেলিভিশন দর্শক ফোরাম অ্যাওয়ার্ড, মহানগরী অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু পদকও পেয়েছেন আবদুল কাদের।

 

সুত্রঃ যুগান্তর