‘শেখ হাসিনা ইয়ূথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন রাজশাহীর তৃতীয় লিঙ্গের মোস্তফা

আমজাদ হোসেন শিমুল:

যুব উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিশেষ বিশেষ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা ইয়ূথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন রাজশাহীর তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও ‘বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠন’ এর সভাপতি মো. মোস্তফা সরকার। গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ‘সাংস্কৃতি কলা’ বিষয়ে এই ইয়ূথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড তার হাতে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মোস্তফা তার অর্জিত অ্যাওয়ার্ড, সম্মাননা ও পুরস্কার হাতে নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে তার দপ্তরে যান। এসময় ডিসিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তিনি। পরে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে তিনি তার এই অর্জন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। রাজশাহী থেকে তৃতীয় লিঙ্গের এই জনগোষ্ঠীর মো. মোস্তফা সরকারের এমন গৌরবময় অর্জনের জন্য ডিসি আবদুল জলিল তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) এ.টি.এম গোলাম মাহবুব, ‘বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠন’ এর সহ-সভাপতি আরমান আলী রিংকি (তৃতীয় লিঙ্গ), সাধারণ সম্পাদক মো. আবজাল হোসেন (তৃতীয় লিঙ্গ) প্রমুখ।

জানতে চাইলে রাজশাহী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) এ.টি.এম গোলাম মাহবুব বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীদের জন্য মোস্তফা সরকার একজন মডেল। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীরা ধর্মীয় কোনো আচার-অনুষ্ঠান করতে পারতো না। তিনি মসজিদের ঈমাম, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও গণমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বিভিন্ন বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেন।’ এছাড়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তিনি তার সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তুলে ধরছেন। ফলশ্রুতিতে তিনি ‘শেখ হাসিনা ইয়ূথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন। এটি আমাদের জন্য, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী এবং রাজশাহীবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের একটি বিষয়।’

‘বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠন’ এর সভাপতি ও অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী মো. মোস্তফা সরকার বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো দিয়ে গান তৈরী করে তা গ্রামে গ্রামে প্রচারণা, পদ্মাসেতু নির্মাণসহ বতর্মান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গান, পালা গান আর নাটকের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে তুলে ধরেছি। শিশু ও যুব সমাজের উন্নয়নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে আরও বেশি বেশি কাজ করতে চাই।’