শীতকালে ওজন বাড়ায় যেসব খাবার

শীতের দিন এলেই ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় যেন খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। সেই সঙ্গে পিঠা-পুলির উৎসব নিয়ে বিশেষ আকর্ষণ থাকে শীতে। আর এসব কারণে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ওজন। এমনিতে শীতের কারণে শরীরের কার্যকলাপ হ্রাস পায়, সেই সঙ্গে মেটাবলিজমও কমতে থাকে। তৃতীয়ত, শীত থেকে বাঁচতে মানুষ খাওয়াদাওয়াও করে বেশি। আর এসব কারণে শীতে ওজন বাড়ে দ্রুত। যেসব খাবারের কারণে ওজন বাড়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ক্রিমি স্যুপ :

এক বাটি স্যুপ ছাড়া যেন শীতকাল অপরিপূর্ণ।  স্যুপ একদিকে যেমন ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করে, শরীর উষ্ণ রাখে আবার প্রয়োজনীয় পুষ্টিও সরবরাহ করে।

তবে আপনি যদি ক্রিমযুক্ত স্যুপ খান, তাহলে দ্রুত ওজন বাড়বে। ক্রিমি স্যুপের পরিবর্তে আপনি ক্লিয়ার স্যুপ যেমন- টমেটো, সবজি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে  খাওয়া শুরু করেন।  কারণ ক্রিমের কারণে স্যুপের ক্যালোরি বেড়ে যায় আর এতে করে বেড়ে যায় ওজন।

মিষ্টি জাতীয় খাবার :

শীতের দিনে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। গাজরের হালুয়া, তিলের লাড্ডু, গোলাপ জামুন শীতের বিভিন্ন  পিঠা এসব শীতকালে যেনো চলতেই থাকে। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আপনাকে এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাই বলে যে একেবারে শীতের পিঠা খাবেন না বিষয়টি এমন না। মাঝেমধ্যে আপনার পছন্দের ডেসার্ট খেতেই পারেন, তবে তা যেন পরিমাণে খুব বেশি না হয়। আর চেষ্টা করুন বাড়িতে বানিয়ে এসব খাবার খেতে।

পরোটা :

শীতে গরম গরম পরোটা খেতে কতই না ভালো লাগে। আর পরোটা যদি ঘি বা বাটার দিয়ে ভাজা হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। চাইলে আলু বা অন্যান্য সবজি দিয়েও এ পরোটা বানানো যায়। তবে স্বাস্থ্যকর পরোটার বিষয় এলে আপনাকে ঘিয়ের ব্যবহারের প্রতি অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। ফ্যাট যেমন শরীরকে উঞ্চ রাখতে সহায়তা করে, তেমনি বেশি মাত্রায় ফ্যাট গ্রহণ করলেও তা ওজন বাড়ায় দ্রুত। এ জন্য এসব বিষয় মাথায় রেখে তারপর পরোটা খেতে হবে। চাইলে ঘি দেওয়া পরোটা খেতে পারেন, তবে তা যেন প্রতিদিন না হয়।

চা, কফি :

চা-কফি ছাড়া যেন শীতকাল কল্পনা করা যায় না। এক কাপ চা অথবা কফি শীতে আমাদের উষ্ণ রাখে। তবে চা বা কফিতে দুধ-চিনি খুব বেশি মাত্রায় দেওয়া হলে তা ওজন বাড়ায় দ্রুত। এ জন্য দিনে ২-৩ কাপের বেশি চা-কফি না খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ব্ল্যাক টি, হারবাল টি খেতে পারেন। হারবাল টিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো হারবাল টিতে ক্যালোরি কম থাকে এবং এতে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ