শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ২, আহত ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়েছেন আরো দুজন। বুধবার রাতে ওয়াহেদপুর-জোহরপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১৬/৬ এস নম্বরের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দশরশিয়ার সাদিকুলের ছেলে সুমন (২৩) ও একই এলাকার এনামুল সরকারটোলার মৃত তোবজুল ওরফে বুদ্ধুর ছেলে সেলিম (২৪)।

বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়, গুলিবিদ্ধ দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি ও আরেকজন ভারতীয় নাগরিক। তারা রাজশাহীতে অজ্ঞাত কোন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানায়, ওয়াহেদপুর-জোহরপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১৬/৬ এস নম্বর সংলগ্ন এলাকা দিয়ে একদল গরু চোরাকারবারী ভারতে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের ৭৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চাঁদনিচক ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত ও দুজন আহত হন। রাতেই বিএসএফ সদস্যরা জিরো লাইনের কাছাকাছি এলাকায় মরদেহগুলো ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকাবাসীর সহায়তায় স্বজনরা মরদেহগুলো উদ্ধার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। গভীর রাতে সবার অগোচরে মরদেহগুলো পদ্মার চর এলাকায় দাফন করা হয়েছে।

পাঁকা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দুরুল হোদা জানান, বিএসএফের গুলিতে দুজন মারা যাবার বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া নিদের্শনা সীমান্তের ওপারে না যাওয়া, সেহেতু নিহতদের মরদেহ ও আহতদের আত্মগোপনে রাখা হয়েছে বলে শুনেছি।

এলাকাবাসী আরও জানান, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কেউ মারা গেলে আইনি ঝামেলা এড়াতেই এভাবে গোপনে মরদেহ পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহবুবুর রহমান খান জানান, শুনেছি দুজন নিহত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের লাশ কোথায় আছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহত দুজনের বিষয়ে কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

উল্লেখ্য, গত ২০০৮ সালে পদ্মার জলসীমায় অনুপ্রবেশকারী বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন নিহত সেলিমের পিতা বুদ্ধু।

স/অ