শিবগঞ্জ ভূমি অফিসে ফাঁকা এসিল্যান্ড পদ, ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে দুই মাস ১৪ দিন ধরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটি খালি রয়েছে। এতে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ভূমি সংক্রান্ত সেবা কার্যক্রম অত্যন্ত মন্থর গতিতে চলছে। নামজারি জমা খারিজের জন্য আবেদনের হাজার হাজার ফাইলের স্তূপ জমে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর মাস থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বরমান হোসেন বদলি জনিত কারণে অন্যত্র চলে গেছেন। তারপর থেকে এ অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ছাড়াও উপজেলা ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে কানুনগো না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন জমির মালিকেরা। নামজারি জমা খারিজের অভাবে জমি বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। জমির মালিকেরা প্রায় ৪-৫ মাস আগে নামজারি জমাখারিজের আবেদন করেও এখন পর্যন্ত জমির নামজারি জমা খারিজ করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

চিকিৎসাসহ নানা জরুরি কারণে নগদ টাকার একান্ত প্রয়োজন হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র নামজারি জমা খারিজের কারণে জমি বিক্রি করতে পারছেন না অনেকে। কবে নাগাদ জমাখারিজ হবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ওই অফিসের কেউই।

কয়েকটি ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এসিল্যান্ডের পদটি খালি থাকায় জন সাধারণ জনগণের অনেক ফাইল আটকে আছে। গত কয়েক মাস ধরে ভূমি সংক্রান্ত বহু মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। জমির নামজারি জমা খারিজের দেড় থেকে দুই হাজার আবেদন জমে আছে অফিসে। এগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর না হওয়ায় আবেদকারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিমুল আকতার জানান, উপজেলায় নতুন যোগদান করছি। এসিল্যান্ডের শূন্য পদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

স/অ