শিবগঞ্জে মুদি দোকানে প্রকাশ্যে কীটনাশক সার বিক্রির ঘটনায় তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মুদিখানার দোকানে অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে কীটনাশক সার, বীজ ও বিষ বিক্রির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের নিদের্শনায় রোববার দুপুরে সরজমিনে তদন্ত শুরু করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাদিজা বেগম।

জানা গেছে- উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বিশরশিয়া ও দশ রশিয়া বাজারে প্রকাশ্যে মুদিখানার দোকানে অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে কীটনাশক সার, বীজ ও বিষ বিক্রি করে আসছে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এর মধ্যে রয়েছে বিশরশিয়ার রবিউল ইসলাম (৩৫), মকবুলের ছেলে রকিব (৩০), রোশদুলের ছেলে অফিজুল (৪০), মুখলেসুরের ছেলে গোলাপ (৪৫), নুরশেদের ছেলে কবির (৪০), নুরশেদের ছেলে শাহাজাহান (৩০), আফসার আলীর ছেলে নাইনুল (৩২), মোশারফের ছেলে কাউসার (৩০), একই এলাকার আওয়াল (২৫), শ্যামপুর গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে বোদ (৩১), হলদিপাড়ার গুগড় আলীর ছেলে বাবলু (৫০) ও কালু আলীসহ বেশকিছু মুদিখানার দোকানের আড়ালে অবৈধভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিষ বিক্রি করছে। এতে স্থানীয় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্থানীয় গণমাধ্যমে মুদিখানার দোকানে অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে কীটনাশক সার, বীজ ও বিষ বিক্রির সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত নামে কৃষি বিভাগ।

স্থানীয় অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা ব্যবসা করার জন্য সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার লাভে অবৈধভাবে কীটনাশক সার-বীজ বিক্রি করছে। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমাদের বাজারে মুদি দোকানেও বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক সার। এতে কৃষকরা অনেক সময় নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রলোভন দেখিয়ে বেশি দামে কীটনাশক কিনছে তারা। অনেক সময় শহরের বিভিন্নস্থান থেকে খোলা সার-বীজ এখানে এনেও তারা বিক্রি করে থাকে। যা ফসলের জন্য ক্ষতিকর। এতে প্রকৃত সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দিনব্যাপি দশ রশিয়া, বিশ রশিয়া, শ্যামপুর ও জামাইপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সরজমিনে গিয়ে তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হবে।

অন্যদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষি সম্পসারণ অধিদফতর থেকে কীটনাশক বিক্রির জন্য অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কীটনাশক বিক্রয়ের সত্যতা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।