শিবগঞ্জে মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদনের হিড়িক

 নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
গত এক মাস যাবত শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য কয়েক হাজার আবেদন শিবগঞ্জ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা পড়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটা কম্পিউটার দোকানে মহিলারা স্বামী-সন্তান নিয়ে ছবি তুলতে ও দরখাস্ত লিখে নেয়ার জন্য লাইন ধরে দাঁড়িতে আছে।
কম্পিউটার দোকানদার ছবি তুলা ও দরখাস্ত লিখা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। কম্পিউটার দোকানদারগণ জানান, প্রায় একমাস থেকে এভাবে দরখাস্ত ও ছবি তুলার কাজে ব্যস্ত আছি।
শিবগঞ্জ পৌরসভার ইসরাইল মোড়ের সাবিনা বেগম, পাকা ইউনিয়নের রোজিনা বেগম,মনাকষা ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের জোসনা বেগম ও মাবিয়া বেগম,বিনোদপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের ববিতা বেগম সহ অনেক মহিলা জানান, আমরা এমপি বরাবর আবেদন লিখে সেখানে মেম্বার, চেয়ারম্যান ও এমপির সুপারিশ নিয়ে উপজেলা মহিলা কর্মকর্তার নিকট জমা দিচ্ছি।কোন মেম্বার চেয়ারম্যান বলেনি। সবাই করছে তাই করছি। ভাতা পাবো কি না তা জানিনা।
এব্যাপারে মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররম জানান, আমার জানা মতে এপর্যন্ত কোন বরাদ্দ আসেনি। নিয়ম অনুযায়ী বছরে দুইবার বরাদ্দ আসে। সেটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিয়ম অনুসারে যাচাই-বাছাই করে অস্বচ্ছল মহিলাদের দেয়া হয়।শাহাবাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক জানান আমাদের নিকট কোন নির্দেশনা ও বরাদ্দ আসেনি।
সেহেতু কিছু বলতে পারবো না। শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েরা খান জানান, বিষয়টি আমাদের দপ্তরের নয়।
তারপরও এ প্রথম শুনলাম। ঘটনাটি হয়রানীমুলক। ব্যাপারটি দেখবো। শিবগঞ্জ উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা মোসা: রহিমা রওনক জানান,মাতৃত্বকালীন ভাতা বাবদ বছরে দুইবার বরাদ্দ আসে ।
সেটি ইউপি চেয়ারম্যান- মেম্বার কর্তৃক মনোনীতদের নিয়ম অনুযায়ী দেয়া হয়। কিন্তু এবার এখনো কোন বরাদ্দ আসেনি। সেহেতু আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না।
তবে উপজেলার সহস্রাধীক মহিলা মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য সংসদ সদস্য বরাবর আবেদন করেছেন । যেহেতু সংসদ সদস্য সুপারিশ করেছেন, সেহেতু আমরা বাধ্য হয়ে আবেদনগুলি জমা নিচ্ছি এবং সংগে সংগে মহিলাদেরকে বলে দিচ্ছি কোন বরাদ্দ নেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব-আল-রাব্বী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বরাদ্দ আসলে উপজেলায় মিটিং এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বর্তমানে কোন বরাদ্দ আসেনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা: সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন,বিভিন্ন ভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
তারপরও প্রতিদিন আবেদন আসছে। তিনি বলেন কোন কোন কম্পিউটার কম্পোজ কারী ও ফটো ব্যবসায়ীরা তাদের লাভের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে মহিলাদের আবেদন করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
আমি তাদের চাপ থামতে না পেরে সুপারিশ করছি। তবে বর্তমানে কোন বরাদ্দ নেই। তিনি আরো বলেন, জরুরী ভিত্তিতে যারা ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স/আ.মি