শিবগঞ্জে নদী থেকে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার : পরিবারের দাবি হত্যা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:   চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নদীতে ভাসমান অবস্থায় ফেরদৌসি বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফেরদৌসি বেগম জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের শামসুদ্দিন গুধার মেয়ে।

রোববার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এদিকে অভিযোগ উঠেছে যৌতুকের কারণে ফেরদৌসিকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়া হয়। ফেরদৌসি বেগমের মা জাহানারা বেগম ও পিতা সামসুদ্দিন গুধা জানান, জামাই মেয়ের মধ্যে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দিবাগত রাতে মনোমালিন্য হয়।

তখন থেকে তাদের মেয়ে নিঁখোজ হয় বলে জামাইয়ের পরিবার থেকে জানানো হলে আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোঁজ পাইনি। এদিকে রবিবার সকালে মেয়ের লাশ নদীতে ভাসার সংবাদ শুনে তারা ছুটে আসেন। অন্যদিকে ফেরদৌসির ভাই সফিকুল ইসলাম জানান, তার দুলাভাই ২০ হাজার টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে কথা কাটাকাটি হয়।

তার বিশ্বাস দুলাভাই তার বোনকে হত্যা করে লাশ নদীতে পাটের জাগের নীচে চাপা দেয় । যা একদিন পর ভেসে উঠে। সফিকুল ইসলাম আরো জানান, গত শনিবার রাতেও তার বোন জামাইয়ের আত্মীয় স্বজনরা আমাদের বাড়িতে গিয়ে বলে তোমরা ফেরদৌসিকে খুঁজে বের করো এবং বাক্স থেকে ১লাখ ৪৫হাজার টাকা নিয়ে গেছে তা উদ্ধার করে দাও।

এদিকে সেলিম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রোববার সকালে ট্যাগজালে মাছ ধরার জন্য তিনি নদীর ধারে গেলে সেখানে ফেরদৌসির জামাই শহিদুল ও তার দুইভাই নদীর তীবে হাঁটাহাটি করছিল। এসময় তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, আমাদের একজন আত্মীয় নিঁখোজ রয়েছে তাই এখানে খোঁজাখুঁজি করছি।

এর কিছুক্ষণ পরই আমি বাড়ি ফেরার জন্য ট্যাগজাল নিয়ে আসার সময় পাটের জাগের কাছে লাশটি দেখতে পেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এসময় অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এলাকাবাসীর ধারণা ফেরদৌসিকে হত্যা করে লাশটি পাটের জাগের মধ্যে রাখা হয়েছিল।

এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার এসআই রিপন আলি জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মেয়ের পিতা সামসুদ্দিন বাদি হয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন। ময়না তদন্তের পর রির্পোট পেলে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স/আ.মি