লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ গোদাগাড়ীবাসীর

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে জনজীবন যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখন বিদ্যুতের লোডশেডিং তা আরও অসহনীন করে তুলেছে । গোদাগাড়ীতে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে রোজায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দিনে রাতে অসংখ্যবার লোডশেডিং এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই এলাকায় তিন মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ করা হরেও ঘাটতি থাকছে প্রায় ৬ মেগাওয়াট। এতে করে রাত দিনের বেশির ভাগ সময় লোডশেডিং পোহাতে হয়।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ তারাবির নামাজে দাঁড়িয়েও বিপাকে পড়ছেন। শুধু নামাজে নয় ভোররাতে সেহরি খাওয়ার সময়েও বিদুতের যাওয়া আসা ভেলকিবাজী খেলা চলতেই থাকে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মালিকরাও বিদুৎ সরবরাহের ঘাটতি থাকই লোকসানের আশঙ্কা করছেন। প্রায় চার লক্ষাধিক জনবসতিপূর্ণ গোদাগাড়ীতে  ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দিনরাত সমানতালে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে টানা দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় বৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

জন জীবনে বিদুৎতের যখই এই অবস্থা তখন গোদাগাড়ী বিদুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে সহকারি প্রকৌশল আবুল কালাম আজাদ বলেন বিদুৎতের উৎপাদন ঘাটনি থাকাই আমরা বিদুৎ ঠিকমত সরবারহ দিতে পারছিনা আমাদের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কিছুই করাই নেই। তিনি জানান গোদাগাড়ী উপজেলায় বিদুতের চাহিদা রয়েছে ৯ মেগা ওয়াট কিন্তু আমরা পাচ্ছি পোনে ৩ কিংবা ৩ মোগা ওয়াট বিদুতের বিশাল এই ঘাটতি থাকাই আমাদের বিভিন্ন দিকের লাইন টেনে পুরো উপজেলা বিদুৎ সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারেরর বিদুতের উন্নয়নের একদিকে যখন সফলাতার কথা শুনা যাচ্ছে আর অপর দিকে যখন বিদ্যুতের ঘাটতি বলা হচ্ছে তখন সাধারণ জনগণ তা সমালোচনায় মুখরিত হচ্ছে।

অব্যাহত বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানই এখন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জেনারেটর বা চার্জার লাইট দিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকা ভেদে প্রতিদিনই কয়েকবার ঘণ্টা ঘণ্টা ধরে লোডশেডিং বর্তমানে রুটিতে পরিণত হয়েছে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে ফেসবুকেউ চলছে সমালোচনার ঝড়। গোদাগাড়ী পৌর এলাকার বারুইপাড়া হাবিব আহম্মেদ বলেন এমনিতেই বিদুৎ তো যাচ্ছেই যখনই নামাজের জামাতে দাঁড়ানো হচ্ছে ঠিক তখনই বিদুৎ চলে যাচ্ছে এর সঠিক কারন কি তা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি আরও বলেন শুক্রবার রাতে তাদের গ্রামের রাত ১২ টাই বিদুৎ চলে গেছে এখন দুপুর ১২ টা বাজলেও আসেনি তবে কখন আসবে তাও সঠিক জানেন না বলে জানান।

আবার কোনো কোনো সময় বিদুৎতের ভোল্টেজও থাকে না বলে অভিযোগ করেন। অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে বিদুৎ চলে যাওয়া পর দীর্ঘক্ষণ না আসার কারণে যখন গোদাগাড়ী বিদুৎ অফিসের টেলিফোন নম্বরে ফোন করে জানতে চাওয়া হয় তখন তারা জনগণের সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলে আবার তারা কৌশলে বেশির ভাগ সমই টেলিফোনের রিসিভার তুলে রেখে দেয় যাতে করে তাদের সাথে কেউ যোগাযোগ না করতে পারে।

গোদাগাড়ী বিদুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ অহিদুর রহমানের ও সহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদুতের চাহিদা নয় মেগা ওয়াট। আর সরবরাহ করা হচ্ছে তিন মেগা ওয়াট। এই জন্য বিদ্যুৎ সরবারহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

 

স/আ