৮৩১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লোকসানে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল

লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু

লালপুর প্রতিনিধি :

নাটোরের লালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেডের ডোঙ্গায় আখ ফেলে ৯১তম মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর ২০২৩) বিকেলে মিলের ২০২৩-২০২৪ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ৫৮ নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল।

বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) শেখ শোয়েবুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষনা ইনস্টিটিউটের (বিএসআইআর) মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী, নাটোর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু নাছের ভূঁঞা, মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কৃষিবিদ মোহাম্মদ খবির উদ্দিন মোল্যা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) মো. শরীফ আল রাজীব, লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত আমান আজিজ, গোপালপুর পৌরসভা মেয়র রোকসানা মোর্তোজা, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি খন্দকার মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মোমিনুল হক প্রমুখ। এ সময় মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আখচাষীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মিল সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মিলটিকে ২৫ বার লাভ ও ২৬ বার লোকসান গুনতে হয়েছে। বর্তমানে মিলটি ৮৩১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে।

এ বছর মিলের নিজস্ব ১ হাজার ৬০২ একরসহ সাড়ে ১১ হাজার কৃষকের ১৪ হাজার ৭০০ একর জমিতে আখচাষ হয়েছে। ১০৩ কার্যদিবসে ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১১ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে শতকরা ৬.৫০ ভাগ।

মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কৃষিবিদ মোহাম্মদ খবির উদ্দিন মোল্যা বলেন, এ বছর মিলকে লাভজনক ও চাষিদের আখ আবাদে উৎসাহিত করতে ভর্তুকিসহ আখের মূল্য বৃদ্ধি করে ২২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে বিদুৎ উৎপাদন ও সুগার রিফাইনারী, ডিস্টিলারী স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সারা বছর উৎপাদন কার্যক্রম চালু থাকবে। এতে দেশে চিনির চাহিদা পূরনের পাশাপাশি মিলের লোকসান থাকবে না। এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।