লিখিত পরীক্ষায় পাস না করলে ভর্তির সুযোগ নেই ইবিতে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে লিখিত পরীক্ষায় অবশ্যই পাস করতে হবে।

একইসঙ্গে ভর্তির আবেদন চারদিন পিছিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে এবং আগামী ১০ অক্টোবর রাত ১২টায় আবেদনের সময় শেষ হবে।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার মিটিং শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ৩৩টি বিভাগে মোট ২২৭৫টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। পাঁচটি অনুষদের অধীনে মোট চারটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে লিখিত ও এমসিকিউ পদ্ধতি।

ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৬০ নম্বর এমসিকিউ, ২০ নম্বর লিখিত। লিখিত ২০ নম্বরে একজন শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ৭ পেতে হবে।

জানা যায়, একজন শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে তার ওএমআর শিট মূল্যায়ন করা হবে।

বাকি ৪০ নম্বর একাডেমিক (এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান) ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। তবে একাডেমিক ৪০ নম্বর নির্ধারণের শর্ত গতবছরেরটা বহাল রাখা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে (www. iu ac.bd) পাওয়া যাবে।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজকে ‘বি’ ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এক্ষেত্রে আল ফিকহ বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ মাদ্রাসা (দাখিল ও আলিম) ও ৫০ শতাংশ কলেজ শিক্ষার্থীদের নেওয়া হবে। এছাড়াও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ কোর্স থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার এক সভায় আইন ও শরীয়াহ অনুষদভুক্ত আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগকে ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে উক্ত দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে।