লালপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাংচুর

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি :

নাটোরের লালপুরের গোপালপুরে ইউনানী চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন করতে গিয়ে আমেনা বেগম নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালের মালিক ও এক চিকিৎসককে আটক করেছে থানা পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ অপারেশনের সময় রোগী মারা গেলেও তা গোপন করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায়। হাসপাতাল গেটে প্রসূতির লাশ রেখে সুকৌশলে পালিয়ে যায় কসমস হাসপাতালের দুই কর্মী। মৃত্যুর ঘটনায় কসমস জেনারেল হাসপাতাল ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধরা।

প্রসূতির ভাইপো মিঠুন জানায়, রবিবার বিকালে লালপুরের ডেবরপাড়া গ্রামের রইস উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম (২৮) এর সিজার করানোর জন্য কসমস জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকালে আমেনার সিজার অপারেশন করেন ইউনানী চিকিৎসক এম.এ আশরাফ ও হাসপাতাল ম্যানেজার অর্জুন কুমার। এতে আমেনার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় কিন্তু এসময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং সে অপারেশন কক্ষেই মারা যায়। কিন্তু বিষয়টি গোপন করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের কথা বলে গাড়িতে তুলে রাজশাহী নিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল গেটে প্রসূতির লাশ রেখে সুকৌশলে পালিয়ে যায় কসমস হাসপাতালের দুই কর্মী।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ স্বজনরা রাতে হাসপাতালে ভাংচুর করে। পরে ওই ঘটনায় রোগীর বিরুদ্ধে মামলা করার চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টির সত্যতা প্রকাশ পেলে হাসপাতালের মালিক জামাল উদ্দিন ও চিকিৎসক এম.এ আশরাফকে পুলিশ আটক করে । তবে হাসপাতালের ম্যানেজার (চিকিৎসক নামে পরিচিত) অর্জুন কুমার পলাতক রয়েছে। মৃত আমেনা বেগমের পিতা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এঘটনায় চিকিৎসক এম.এ আশরাফ জানান, এটা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। একজন চিকিৎসক সব সময় তার রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করে থাকেন। তিনি আরো জানান, অপারেশন থিয়েটারে সহযোগী হিসেবে রেবেকা সুলতানা নামের একজন মহিলা ডাক্তার ছিলেন।

কসমস হাসপাতালের মালিক জামাল উদ্দিন জানান, ভাংচুরের ঘটনায় হাসপাতালের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে লালপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে, বিষয়টি আরো ভালভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে ।

স/শা