লালপুরে গোসাইয়ের আশ্রমে নবান্ন উৎসব পালিত

লালপুর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর-পানসিপাড়া গ্রামে শ্রী শ্রী ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোসাইজীর আশ্রমে দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিবছর ৬ অগ্রহায়ন দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

সোমবার সকালে আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রী. সঞ্চয় কুমারের সভাপতিত্বে ৩২৫তম নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী, দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান প্রমুখ।

আশ্রমের প্রধান সেবাইত পরমানন্দ সাধু জানান, উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে দুড়দুড়িয়ার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের গহীন অরণ্যে একটি বটগাছের নিচে বাংলা ১২১৭ সালে আস্তানা স্থাপন করেন ফকির চাঁদ বৈষ্ণব। এখানেই সাধু ধ্যান-তপস্যা ও বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার আরম্ভ করেন। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমা, গঙ্গা স্নান ও নবান্ন উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত সাধক সমবেত হন।


আশ্রমের প্রবেশ পথে রয়েছে ময়ূর, বাঘ ও বিভিন্ন প্রাণির মূর্তি এবং লতা-পাতা কারুকার্য খচিত সুবিশাল ফটক। প্রধান দ্বার পার হয়েই ডান পাশে রয়েছে ভক্ত সাধু ও সাধু মাতাদের আবাসন। বাম পাশে রয়েছে ৬ জন সাধুর সমাধি মন্দির। একটু সামনেই রয়েছে শ্রী ফকির চাঁদ বৈষ্ণবের চার কোনা প্রধান সমাধি স্তম্ভ। বর্গাকৃতির ৪০ ফুট সমাধি সৌধের রয়েছে আরেকটি ৩০ ফুট গৃহ। এর একটি দরজা ছাড়া কোন জানালা পর্যন্ত নেই। মূল মন্দিরে শুধুমাত্র প্রধান সেবাইত প্রবেশ করেন।

কথিত আছে, মন্দিরের মধ্যে সাধু ফকির চাঁদ স্বশরীরে প্রবেশ করে ঐশ্বরিকভাবে স্বর্গ লাভ করেন। তাঁর শবদেহ দেখা যায় নি। সমাধির মাত্র ৫ গজ দূরে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি কুয়া। আশ্রমে চত্বরে রয়েছে ১৪০ জন ভক্ত সাধুর সমাধি। নর সুন্দুর (নাপিত) বিরেন জানান, দুর দূরান্ত হতে আগত ভক্তবৃন্দরা আশ্রমে নগদ অর্থ, স্বর্নের, রোপ্যের দ্রব্যাদিসহ মান্যত হিসাবে প্রদান করে থাকেন।

স/শ