লালপুরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা

লালপুর  প্রতিনিধি :

নাটোরের লালপুরে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের মাধ্যমে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ৬৭৪টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদানের মাধ্যমে উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন গৃহহীনমুক্ত ঘোষণার প্রাক্কালে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) চারটি ধাপে আবাসনের মাধ্যমে ভূমিহীন (ক শ্রেণি) ও গৃহহীন পরিবার মুক্ত উপজেলা ঘোষনার প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনও শামীমা সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, লালপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জালাল উদ্দিন, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রোখসানা মোত্তর্তজা লিলি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাবনী সুলতানাসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, দেশব্যাপি ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক শ্রেণির) পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষে ২০১৯ সাল থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। উপজেলায় প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের ১১.৫ একর খাস জমি উদ্ধার করে প্রতিটি পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর; সাথে বিদ্যুৎ সংযোগসহ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ৪২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০টি, ৩য় পর্যায়ের ১৪২টি, চতুর্থ পর্যায়ে ১৫৫ টি পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন। ইউএনও শামীমা সুলতানা বলেন, তালিকা অনুযায়ী উপজেলায় ভূমিহীন (ক শ্রেনির) ও গৃহহীন ২ শতক খাস জমিসহ মুজিব শতবর্ষের একক গৃহ পেয়েছেন। পদ্মার চরের রসুলপুর মৌজার ৯ দশমিক ৫০ একর খাস জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত রসুলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৮টি ব্যারাকে ২৪০টি ভূমিহীন পরিবারের আসনের ব্যবস্থা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ঘর প্রদান প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উপজেলায় ৬৭৪টি পরিবার এ সুবিধা পেয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে ঘর প্রতি বরাদ্দ ছিল-১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা, ৩য় পর্যায়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা ও চতুর্থ পর্যায়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের কার্যক্রম আরও টেকসই ও মজবুত করার জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হয়েছে।