লালপুরের ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় সংঘর্ষ আহত ২

লালপুর প্রতিনিধি :

নাটোরের লালপুরে স্কুল শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে শিক্ষা সফরগামী বাসের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘট।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঝিনাইদহ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য লালপুর গ্রিন ভ্যালি পার্কে যাচ্ছিলেন। তারা গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজের গেটে বাস থামিয়ে ছাত্ররা খালি গায়ে নাচানাচি করে এবং গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রীদের উত্তাক্ত করায় উক্ত কলেজের ছাত্ররা তাদের নিষেধ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি বেধে গেলে ইটের আঘাতে গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ সোহান (১৩) ও ঝিনাইদহ উপজেলার হামদহ গ্রামের সামিরুল ইসলাম (৬২) গুরুতর আহত হয়। আহত সোহান নুরুল্লাপুর গ্রামের আসলাম আলী ছেলে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঝিনাইদহ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একজন শিক্ষক জানান আমরা একটি বাস থামিয়ে শিক্ষার্থী ও বয়স্ক অভিভাবকদেরকে প্রস্রাব করার জন্য বিদ্যালয় গেটে দাড়িয়ে বিদ্যালয়ে ভিতরে প্রবেশ করি।

কিন্তু হঠাৎ করে কিছু শিক্ষার্থরা গাড়ি থেকে নেমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে যার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে হাতাহতির ঘটনা ঘটে এবং ঘটনাস্থলে কয়েকজন আহত হয়। তবে কি বিষয় নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে তা আমরা বুঝতে পারি নাই। গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের অভিযোগ অ্যাসেম্বলী চলাকালীন সময় তাদের আরেকটি বাস পেছোনে দাড়িয়ে মেয়েদেরকে লক্ষ করে বোতলের পানি ছুড়ে ও অশ্লীল ভাবে কথা বলায় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তাদের শিক্ষা সফরের গাড়ি হতে ৮ থেকে ১০জন নেমে শিক্ষার্থীদেরকে পিটিয়ে আহত করে।

পরে স্থানীয়রা তাদের আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন ও গুরুতর আহত ২জনকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পিকনিকে আসা বাসসহ যাত্রীদের গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজে গেটে স্থানীয় লোকজন আটক করে। এ ব্যাপারে গৌরীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হযরত আলী জানান ঘটনাটি ঘটার পর থানা পুলিশকে জানায়। লালপুর থানা পুলিশশের এসআই হুমায়ূন এর উপস্থিতিতে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা বাবদ তিন হাজার পাচশত টাকা খরচ ও মুচলেকা নিয়ে ঝিনাইদহ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের ছেড়ে দেওয়া হয়।