রোহিঙ্গা নির্যাতন : আইসিসির আদেশ মিয়ানমারের প্রত্যাখ্যান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যে আদেশ দিয়েছে তা দৃঢ়তার সাথে প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।

গত বৃহস্পতিবার এক অভূতপূর্ব আদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন তদন্তে আদালতের সক্ষমতা দাবি করেন। তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের বিতাড়ণের মধ্যে দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের যে অভিযোগ উঠেছে, তার বিচারের এখতিয়ার এই আদালতের রয়েছে। কেননা এই ঘটনায় সংঘটিত অপরাধ সীমান্ত পেরিয়ে আইসিসির সদস্য দেশ বাংলাদেশে বিস্তৃত হয়েছে।

এর পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের কার্যালয় শুক্রবার আইসিসির আদেশ প্রত্যাখ্যান করে এক বিবৃতিতে বলে, ‘এই আদেশ ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়া ও সন্দেহজনক আইনি কার্যক্রমের ফল। মিয়ানমার আইসিসির এই আদেশকে শ্রদ্ধা দেখাতে কোনোভাবেই বাধ্য নয়।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ আনা হয়েছে যা ব্যক্তিগত ট্র্যাজিডির বর্ণনা থেকে সংগৃহিত, যার সাথে আইনি যুক্তিতর্কের কোনো লেনাদেনা নেই। মূলত আদালতের ওপর আবেগীয় চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য হলেও মিয়ানমার ওই আদালতের সদস্য নয়।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের বিতাড়ণে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য মিয়ানমারের বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিসি) রয়েছে বলে দেওয়া আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের কয়েকজন এমপি। বৃহস্পতিবার তারা এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) সভাপতি ও মালয়েশিয়ার এমপি চার্লস সান্তিয়াগো বলেছেন, ‘এটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে তাদের দোষী সাব্যস্ত করতে এটি অগ্রগামী পদক্ষেপ।’

এপিএইচআরের বোর্ড সদস্য ও ইন্দোনেশিয়ার এমপি ইভা কুসুমা সুন্দরি বলেছেন, ‘আইসিসি এখন পূর্ণ তদন্তের সুযোগ পেয়েছে। এর মানে হচ্ছে যাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিচার এবং  একটি সম্প্রদায়ের ওপর দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা নিপীড়ন ও অবিচারের সমাপ্তি টানার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’