আগের মাস মার্চ শেষে জুলাই-মার্চ ৯ মাসে তৈরি পোশাকে রপ্তানির প্রবদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এপ্রিল শেষে জুলাই-মার্চ ১০ মাসে সেই প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। দেশের মোট রপ্তানিও ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, এপ্রিল মাসে ঈদের ছুটি ছিল। এ কারণে ওয়ার্কিং ডে কম ছিল। এটি এপ্রিলে রপ্তানি কমের একটি কারণ।
তিনি আরও বলেন, আগামী মাসগুলোতে লক্ষ্যপূরণে বড় কোনো অর্জন হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ হলো আগামীতে আর দুইটি মাস আছে। যদি মাসে তিন বিলিয়ন করেও ধরি, তবে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি হবে। বড় ধরনের অর্জন হবে বলে মনে হয় না। অনেক দিন ধরেই বিশ্ব অর্থনীতি ভালো না। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে আবার লোহিত সাগরে অস্থিরতা যোগ হয়েছে। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা চলছেই।
তিনি আরও বলেন, মানুষ আগে যে পর্যায়ে ছিল, এখনও সেখানেই আছে। এ জন্য মানুষ বাড়তি কেনাকাটা করছেন না বা করতে পারছেন না। তাই বাজার থেকে নেতিবাচক প্রভাব যাচ্ছে না। আর আমরাও এর প্রভাব থেকে বাইরে যেতে পারছি না। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না যে শীঘ্রই রপ্তানি বাড়বে।