রেলের জায়গায় অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ: বসতবাড়ি রক্ষা করলেন লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে শুরু করে মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকা পর্যন্ত রেলের জায়গায় অবৈধস্থাপনা ও বসতবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে রেলকতৃপক্ষ। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।

তবে তারা নগরীর বহরমপুর এলাকায় রেললাইনের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবৈধ নানা স্থাপনা ও বসতবাড়ির উচ্ছেদ করত গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

খবর পেয়ে সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও নগর সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন উপস্থিত হন। তিনি উচ্ছেদকারীদের সেখান থেকে ফিরিয়ে দিয়ে অবৈধ নানা স্থাপনা ও বসতবাড়ির উচ্ছেদ রক্ষা করেন।

পরে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মানুষ শখ করে রেল লাইনের পাশের বস্তিতে বসবাস করে না। নিরুপায় হয়ে বস্তিতে বসবাস করছেন আপনারা। আমি থাকা পর্যন্ত আপনাদের বাড়িঘর কেউ ভাঙতে পারবে না। কেউ ভাঙতে আসলে আমি তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো।

Image may contain: 5 people, people standing, crowd and outdoor

এসময় তিনি অারও বলেন, বর্তমান মেয়রকেও আপনারা ডেকে ছিলেন। তিনি আপনাদের পাশে আসেন নি বা আসতে পারেন নি। আমি এপি না, মন্ত্রী না, মেয়র না। তার পরেও আপনাদের মাঝে আমি এসেছি। সামনে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে যদি মেয়র হতে পারি তা হলে আপনাদের পুর্নবাসন করা হবে। আপনাদের পুনর্বাসন করার মত অনেক জায়গা রাজশাহীতে আছে। শুধু উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগরীর তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিব আহম্মেদ, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামন টুকু, রেলওয়ে শ্রমীক লীগ রাজশাহী বিআর শাখার সভাপতি মতাহার হোসেন বুলু, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, ওপেল লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমূখ।

রেলের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে শুরু করে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকা পর্যন্ত চলবে। এসময় রেল লাইনের দুইপাশের অবৈধস্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হবে। মাইকিং করে বলা হয়েছে ফলে কেউ কেউ তাদের স্থাপনা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিচ্ছেন। আবার যারা সরিয়ে নিচ্ছেন না তাদের গুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

এদিকে, অবৈধস্থাপনা বার বার ভাঙা ও গড়া নিয়ে এলাকার দড়িখরবনা এলাকার লোকজন বলেন, রেলের জায়গায় বার বার ভেঙে যায় আবার দু’দিন পর যে করা সেই অবস্থা। দোকান ঘরের লোকজন পারলে রেল লাইনের ওপর বসে কাজ করে।

তারা আরও বলেন, রেল লাইনের নিচ দিয়ে এপার থেকে ওপার তারা বৈদতিক তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগও নিয়ে ছিল যা বেশ কয়েক মাস আগে রেল কতৃপক্ষ কেটে দিয়ে সর্তক করে যায়। এছাড়া রেলের ক্রসিং গুলোতে বিভিন্ন অবৈধস্থাপনা ও দোকানের মালামালের কারনে ট্রেনের সিংনাল দেখাসহ সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার সম্মুখিন হয়।

স/আ