রেলক্রসিং গেট খোলা রেখে গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন: এসপি

জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈলে বাস ও ট্রেনের সংঘর্ষের সময় রেলক্রসিংয়ের গেট খোলা ছিল। আর গেটম্যানও ঘুমিয়ে ছিলেন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সালাম কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার সকাল ৭টার দিকে জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে বাসের ট্রেনের ধাক্কায় ১২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম ও ‍পুলিশ সুপার সালাম কবির।

এসময় সালাম কবির সাংবাদিকদের বলেন, রেলক্রসিং খোলা ছিল। গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন। রেলক্রসিং খোলা দেখে বাসচালক রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সৈকত  বলেন, গেটম্যানের ভুলের কারণেই এতগুলো প্রাণ ঝড়ে গেল। রেলক্রসিং বন্ধ থাকলে এ দুর্ঘটনা ঘটতো না।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীগামী ৩২ নম্বর উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে বাঁধন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। বাসটি জয়পুরহাট থেকে পাঁচবিবি যাচ্ছিল।

পথে বাসটি পুরানাপৈল রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনটিও সেখানে চলে আসে। এতে হতাহত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে। নিহত ১২ জন বাসের যাত্রী ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর থেকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। চেষ্টা চলছে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রেন অপসারণের। জেলা প্রশাসক ছাড়াও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবীর,সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক খন্দকার ছানাউল হক বলেন, ট্রেনের সাথে সংঘর্ষে ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর ৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে আরো দু’জন বগুড়া হাসপাতালে মারা গেছেন।

 

সুত্রঃ যুগান্তর ,কালের কণ্ঠ