রিফাত হত্যা আয়শাসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের আপিল করতে হবে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় অনুযায়ী দণ্ডিত আসামিদের আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে। আদালতের একটি সূত্র জানায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের জন্য রায়সহ মামলার যাবতীয় নথিপত্র আগামী রোববার উচ্চ আদালতে পৌঁছাতে পারে।

কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।

অন্যদিকে দণ্ডিত আসামিরা বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল ও আপিল করতে পারবেন।

ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপার বুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করতে হয়। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন) ও সংক্ষুব্ধ পক্ষের আপিলের ওপর হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।

সকালে বাবা-মাকে ফোন করে কান্নাকাটি করেছেন আয়শা

আইনজীবীরা জানান, ডেথ রেফারেন্স এমন একটি প্রক্রিয়া, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিজ থেকে আপিল না করলেও আইনের বিধান অনুসারে ডেথ রেফারেন্সের ওপর উচ্চ আদালতে শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। বিচারিক আদালতের রায় পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে উচ্চ আদালত রায় বহাল, পরিবর্তন, সংশোধন, পরিমার্জন বা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রী আয়শার সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেদিন বিকেলে তিনি মারা যান। পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।


খালাস পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ছিল

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য পাঁচ আসামি হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয় (২২) ও মো. হাসান (১৯)। আর খালাস পাওয়া চারজনের মধ্যে পলাতক মুসা ছাড়া বাকি তিনজনকে রাতেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শিশু আদালতে চলমান ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিচারপ্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য নেওয়া শেষ। ৫ অক্টোবর থেকে যুক্তিতর্ক শুরুর দিন ধার্য রয়েছে।

সূত্র প্রথম আলো