রিফাত হত্যার এক বছর: ভালো নেই মিন্নি

ফেসবুকের ০০৭ গ্রুপে হত্যার পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ২৬ জুন হত্যা করা হয় বরগুনার রিফাত শরীফকে। ওই দিন (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় বরগুনার কলেজ রোড এলাকায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।

আগামীকাল শুক্রবার (২৬ জুন) বরগুনার আলোচিত সেই (রিফাত শরীফ) হত্যার এক বছর পূর্ণ হবে।  বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো হত্যাকারীদের শাস্তি দিতে পারেনি আদালত। শুধুমাত্র ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড)।

বরগুনায় ভালো নেই শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিও। রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি তাঁর স্বামী রিফাত শরীফকে বাঁচাতে প্রাণপন চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন বণ্ড বাহিনীর নৃশংসতার কাছে। অথচ এ হত্যাকার ২০ দিন পর গত বছরের ১৬ জুলাই নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদনে নিহত রিফাতের স্ত্রী ও এ মামলার প্রধান স্বাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে করা হয় সাত নম্বর আসামি।

এর পরপরই মামলাটি অন্যদিকে মোড় নেয়। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আসেন নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

এ বিষয়ে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর বলেন, বিচার কার্যক্রম থেমে যাওয়ায় তারাও এক ধরণের অস্বস্তিতে রয়েছেন। তাছাড়া এ ঘটনায় দেশব্যাপী মিন্নিকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠায় চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন মিন্নি। বিশেষ করে মিন্নি প্রায়ই অসুস্থ থাকছে। নানা কারণে নিজ থেকেই স্বাভাবিকভাবে চলা ফেরা এবং কথাবার্তাও বন্ধ রেখেছে মিন্নি। সামাজিকভাবে বান্ধবীদের সাথেও মিশছে না সে।

কোন প্রকার হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, হুমকির মধ্যে না থাকলেও একটি প্রভাবশালী মহলের স্বার্থে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মিন্নিকে আসামি করা হয়েছে এটা পরিস্কার।

তিনি আরও বলেন, শুরু থেকে দ্রুতই এগিয়ে চলছিলো বিচার কার্যক্রম। করোনার কারণে একদম শেষ দিকে এসে বন্ধ রয়েছে বিচার কাজ। এ মামলায় তিনি ন্যায় বিচার পাবেন এমন আশা ব্যক্ত করে বলেন মিন্নি এ মামলায় নির্দোষ প্রমানিত হয়ে খালাস পাবেই।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ