রাসিকের অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহারের দাবি, না’ ত আন্দোলনের হুশিয়ারি !

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহারের দাবি রাজশাহী নাগরীক সমন্বয় কমিটি ও ব্যবসায় সমনন্বয় পরিষদের। দাবি পূরণ না হলে  ঈদের পর কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির  হুশিয়ারি। (রাসিক) যৌক্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স নির্ধারণ করা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের ফি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানানো হয়।

 

রাজশাহী নাগরীক সমন্বয় কমিটি ও ব্যবসায় সমনন্বয় পরিষদের আয়োজনে সোমবার সাড়ে ১১টায়  রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এসব দাবি জানানো হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী নাগরিক সমন্বয় কমিটি ও রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শামসুদ্দিন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠন দুটির সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী।

 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভাষা সৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি, সাংবাদিক মুস্তাফিজুল আলম,  রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক ড. ফয়সাল কবির চৌধুরী, শেখ রেজাউর রহমান দুলাল, রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ আহমেদ খান, বাংলাদেশ ক্লিনিক ডায়গনষ্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মখলেসুর রহমান, রাজশাহী পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুকু প্রমূখ।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারনের পদ্ধতিও নাগরিকদের কাছে স্বচ্ছ নয়। অস্বাভাবিকহারে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হচ্ছে। তাই এই ‘অস্বচ্ছতা’ দূর করতে নগরীর সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে ৩০টি ওয়ার্ডে গণশুনানির দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে রাসিক ব্যবসায়ীদের দোকানের সামনে থাকা প্রতি বর্গফুট সাইনবোর্ডের জন্য ৮০ টাকা কর ধার্য করেছে। কিন্তু এই কর ‘অযৌক্তিক’। কারণ ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স ফি দিয়ে ব্যবসা করেন। সাইনবোর্ড সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেরই একটা অংশ। এর জন্য আলাদা কর ধার্য করা অযৌক্তিক। কারণ এটি কোনো পণ্য বা সেবা নয়। তাই এই কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

 

এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স ও প্রিমিসেস লাইসেন্স ফি কমানো, নগরীর সোনাদিঘী ও ভূবনমোহন পার্ক দখল মুক্ত করে সংস্কার ও সংরক্ষণ, নির্মাণাধীন মার্কেট গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করে ব্যবসায়ীদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া, নগরীর বড়কুটির ময়লার ভাগাড় স্থানান্তর, বেওয়ারিশ কুকুর ও মশা নিধন, পানি ও গ্যাস সংযোগ স্থাপনের ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তারা।

 

এসব দাবি পূরণ না হলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তারা।

স/অ