রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা মনে রাখেনি এক নম্বর বরাদ্দটিকেই

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশে ‘কিছু একটা’ চলছে, যেটা নিশ্চিতভাবেই লকডাউন নয়। আবার এটা ঠিক সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিও নয়। সব গণপরিবহন বন্ধ এবং মানুষকে জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে না বেরিয়ে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে।

ওদিকে আবার প্রায় সব অফিস বন্ধ থাকলেও গার্মেন্টস কারখানা খুলে গেছে। ৪ এপ্রিল পৌরাণিক ‘এক্সোডাস’-এর মতো এক মহাযাত্রায় লাখ লাখ শ্রমিক সামাজিক দূরত্বের বারোটা বাজিয়ে ঢাকায় ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।

ভয়ংকর সমালোচনার মুখে বিজিএমইএ’র সভাপতি কারখানা বন্ধের দায়সারা গোছের একটা আহ্বান জানালেও কারখানাগুলোয় কাজ চলছে।

এ বিষয়টি হতে পারত দীর্ঘ এক বিশ্লেষণের ব্যাপার, কিন্তু এ কলামের আলোচনা ভিন্ন। তবে এটুকু জেনে রাখা জরুরি নানামুখী চাপ এবং অনেক উদাহরণের পরও সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করেনি।

বাংলাদেশে করোনার কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে অনেক আগেই, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর সব রকম প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও স্বীকার করছিল না সেটা। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে, স্বীকার করছে করোনার কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে।

কমিউনিটির সংক্রমণ যখন হয় তখন খুব শক্তভাবে লকডাউন ঘোষণা করা উচিত এবং সেটি মানতে মানুষকে বাধ্য করা উচিত।

এসব তথ্য এখন আর বিশেষজ্ঞদের মুখ থেকে শুনতে হয় না, সারা দুনিয়াতে একের পর এক দেশে কী ঘটেছে এবং তখন তার প্রতিক্রিয়ায় দেশগুলো কী করেছে সেটি দেখতে দেখতে এখন একজন সচেতন নাগরিকের সবকিছু মুখস্থ।

ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে উন্নয়নের দাবি খুব জোরেশোরে করা হলেও সরকারি হিসাবেই এখনও ৪ কোটির মতো মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে, যার অর্ধেক আবার বাস করে চরম দারিদ্র্যসীমায়। এ মানুষগুলো এক রকম ‘দিন এনে দিন খেয়ে’ হয়তো জীবন কাটাতে পারছিল।

করোনার সময়টা এদের জীবিকা কেড়ে নিয়েছে। আয় বন্ধ, কিন্তু সামনে আছে জমতে থাকা ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি পরিশোধের ভয়ংকর দুশ্চিন্তা। শুধু এদেরই নয়, অনেক নিুমধ্যবিত্ত পরিবারও এখন রীতিমতো ক্ষুধার কষ্ট করছে। তাই বর্তমানে সংখ্যাটা চার কোটির চেয়ে আরও অনেক বেশি।

আমাদের মতো অর্থনীতির দেশগুলো যখনই করোনা নিয়ে কোনোরকম অর্থনৈতিক প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছে তখন চিকিৎসাবিষয়ক অতিরিক্ত বাজেটের বাইরে সর্বপ্রথম চিন্তা ছিল করোনার কারণে ঘোষিত কিংবা অঘোষিত লকডাউন যখন চলবে তখন যে মানুষগুলো রীতিমতো ক্ষুধার কষ্টে পড়বে সে মানুষগুলোকে খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

এ চেষ্টাটা শুধু ওই গরিব মানুষগুলোর সঙ্গে না, সমাজের উঁচুতলার মানুষের বাঁচার স্বার্থেও এটা জরুরি। কারণ ওই মানুষগুলোকে খাবারের নিশ্চয়তা দেয়া না গেলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেই। তাতে লকডাউন, হোক ঘোষিত কিংবা অঘোষিত, কার্যকর হবে না।

এটা রকেট বিজ্ঞান নয়, খুব সহজ কাণ্ডজ্ঞান দিয়েই বোঝা যায়। এ কথাই কিছুদিন আগে বলেছেন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরাও। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ ব্যানার্জি এবং এস্তার দুফলো কথাগুলো বলছেন খুব জোর দিয়ে।

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান তাদের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করার ক্ষেত্রে এ মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। প্রণোদনা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা কী করেছি সেটি জানার আগে এ দুটি দেশ কী করেছে সেটি জেনে নেয়া যাক।

ভারত ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি রুপির প্যাকেজ ঘোষণা করেছে শুধু সমাজে দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ প্রকল্পের আওতায় এতদিন ৮০ কোটি মানুষ প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৫ কেজি চাল অথবা গম পেতেন।

করোনা মোকাবেলায় আগামী তিন মাস তাদের অতিরিক্ত আরও ৫ কেজি চাল অথবা গম এবং অতিরিক্ত এক কেজি ডাল দেয়া হবে। শুধু এ খাতেই ভারত খরচ করবে ৪৫ হাজার কোটি রুপি।

আগামী তিন মাসের জন্য দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলোকে বিনামূল্য রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেয়া হবে। জন ধন অ্যাকাউন্ট থাকা নারীদের আগামী তিন মাসের জন্য ৫০০ রুপি করে দেয়া হবে।

এতে ২০ কোটি নারী উপকৃত হবেন। ষাট বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, বিধবা এবং প্রতিবন্ধীদের অতিরিক্ত ১ হাজার রুপি করে দেয়া হবে প্রতি মাসে। দু’দফার কিস্তিতে এ টাকা পাওয়া যাবে।

একশ’ দিনের কাজের প্রকল্পের আওতায় শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ২০২ রুপি করে দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যও তাদের নিজস্ব অনুরূপ কর্মসূচি নিয়েছে।

ভারতের প্যাকেজে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে করোনা রোগীর সেবায় থাকা যে কোনো স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য ৫০ লাখ রুপির জীবন বীমা।

অর্থনৈতিক প্যাকেজের ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের উদাহরণ আমাদের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ দেশটি সাম্প্রতিককালে অর্থনৈতিকভাবে নানামুখী চাপের মধ্যে ছিল।

তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থা কয়েক মাস আগে এত খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছিল, ইমরান খানকে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, চীন আর সৌদি আরবের কাছে অনেক দেন-দরবার করতে হয়েছিল। সে সময় পাকিস্তানি রুপি ডলারের বিপরীতে মূল্য হারাতে হারাতে অনেক পড়ে যায়।

এখন এর মূল্য আমাদের টাকার অর্ধেকের কিছু বেশি। তাই পাকিস্তানের পুরো প্যাকেজটি আমি বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করে লিখছি যাতে সবার বুঝতে সুবিধা হয়।

পাকিস্তান দুই সপ্তাহ আগে করোনা নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানি রুপির অংকে এটা ১ লাখ ২০ হাজার কোটি রুপি। বাংলাদেশি টাকায় এটার পরিমাণ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

বরাদ্দের অনেক খাত থাকলেও স্বাস্থ্য খাতের বাইরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের বরাদ্দ এ রকম- প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে দিনমজুর, আর নানা আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত দুই কোটির বেশি শ্রমিককে ৪ মাস নগদ অর্থ সাহায্য দেয়ার জন্য।

২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে আটা, ডাল আর চিনির মতো অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্যে ভর্তুকি দিয়ে সেটি প্রান্তিক মানুষদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য। ১৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে কেনা হবে ৮২ লাখ টন গম, কৃষক যাতে গমের ন্যায্যমূল্য পায়।

প্রতি লিটার পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিনের দাম ৮ টাকা করে কমানোর জন্য ভর্তুকি রাখা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রাখা হয়েছে অন্য কৃষিপণ্য এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রণোদনা দেয়ার জন্য।

৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে রফতানিমুখী শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে।

৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। আর সংবাদ সম্মেলনের পরপর প্রতিটি টিভি চ্যানেল এবং নিউজ পোর্টাল শিরোনাম করে ৭৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে।

এতে খুব বড় একটা তথ্যগত ভুল আছে। যে অংকটার কথা বলা হয়েছে এটা প্রণোদনা প্যাকেজ না। এটা দেশের চাপে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ঋণের প্যাকেজ। যদিও এটাকে করোনার জন্য আলাদাভাবে উল্লেখ করার তেমন কিছু ছিল না।

স্বাভাবিক অবস্থায়ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ব্যাংক এবং ক্ষেত্রবিশেষে সরকারের কাছ থেকে ঋণ পায়। তবুও এক নজরে দেখে নেয়া যাক আসলে প্রকৃত ভর্তুকি কতটা।

কোনো সন্দেহ নেই নানা রকম কারণ দেখিয়ে এ ঋণের পুরো অংক গ্রহীতার কাছে যাবে না। এমনকি যখন ‘নয়-ছয়’ সুদের আলোচনা হচ্ছিল তখনও অনেক ব্যাংকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঝুঁকি বিবেচনায় তাদের কোনোভাবেই নয় শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া সম্ভব না।

তবুও আলোচনার খাতিরে ধরে নেয়া যাক যে অঙ্কের কথা বলা হয়েছে তার পুরোটাই ঋণ হিসেবে প্রথম বছরেই দিয়ে দেয়া হল।

বৃহৎ শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে ৩০ হাজার কোটি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহৎ শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে ঋণের সুদের ৯ শতাংশের ৪.৫ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণের সুদের ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে ব্যাংকগুলোকে দেবে।

প্রণোদনা বললে এটুকুকেই শুধু বলা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (ইডিএফ) অতিরিক্ত দেড় বিলিয়ন ডলার (১২,৭৫০ কোটি টাকা) যুক্ত করা হচ্ছে, এতে মোট ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫ বিলিয়ন ডলার। এবং এতে সুদের হার ২.৭৩ থেকে ২ শতাংশে নামানো হয়েছে। ০.৭৩ শতাংশ সুদ কমানোই এ ক্ষেত্রে প্রণোদনা।

প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার নতুন ঋণ সুবিধার কথা বলা হয়েছে যাতে সুদের হার হবে ৭ শতাংশ। বাজারে প্রচলিত সুদের চেয়ে যে হার ২ শতাংশ কম। এ ২ শতাংশ কম সুদই প্রণোদনা।

এর আগে ঘোষিত শ্রমিকদের বেতন দেয়ার জন্য রফতানিমুখী শিল্পে ২ শতাংশ সুদে ঋণের ক্ষেত্রে প্রচলিত বাজারের চেয়ে ৭ শতাংশ কম সুদটাই প্রণোদনা।

এভাবে হিসাব করলে সব খাত মিলে প্রথম বছরে সরকারকে সাকুল্যে ৩ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। ঋণ শোধ হতে হতে পরবর্তী সময় সরকারের দেয় অঙ্ক ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে।

প্রণোদনার অংশ না হলেও বক্তব্যে প্রান্তিক মানুষদের জন্য ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি এবং সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে; কিন্তু কোথাও সুস্পষ্টভাবে বলা নেই সেটার ব্যাপ্তি কতটুকু বাড়ানো হবে এবং সেটি কত মানুষকে উপকারভোগী করবে এবং তার জন্য বাজেট বরাদ্দ কত।

তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই উল্লেখিত প্রণোদনার অঙ্ক অসাধারণভাবে বিনিয়োগ করা হল এবং সেটি অনেক কর্মসংস্থান তৈরি করে মানুষের অবস্থা ফিরিয়ে দিল, কিন্তু এখন মানুষ বাঁচবে কীভাবে?

এ ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা কতটুকু আছে সেটার খুব চমৎকার একটা প্রমাণ হতে পারে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় সরকারি বরাদ্দের পরিমাণ দেখলে।

৪ এপ্রিল দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ওইদিন কিছু নতুন বরাদ্দযুক্ত হওয়ার পর দেশের ৬৪টি জেলায় করোনার ভুক্তভোগী প্রান্তিক মানুষদের সহায়তার জন্য বরাদ্দের মোট পরিমাণ ৪৮ হাজার ১১৭ টন চাল এবং প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

এ বরাদ্দটাকে স্রেফ একটা প্রহসনের চেয়ে বেশি কিছু মনে করার কোনো কারণ নেই। এটুকুই করছে না এই রাষ্ট্র, তাই স্বাস্থ্যকর্মী, মধ্যবিত্ত, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ী, একেবারেই দেউলিয়া হয়ে পড়া পোলট্রি-ডেইরি-মৎস্য-কৃষি খাত নিয়ে এক্ষুনি নেয়া উচিত এমন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ার কথা এ আলোচনায় আর আনেনি।

করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে কত সেটি নিয়ে মানুষ শুরু থেকেই সন্দিহান ছিল, কারণ যাচ্ছে তাই রকম অসতর্কতার পর আক্রান্তের সংখ্যা শুরু থেকেই অবিশ্বাস্য পরিমাণ কম ছিল।

হতে পারে সেটি অত্যন্ত কম টেস্ট করার কারণে, আবার এটাও হতে পারে সরকার সত্য প্রকাশিত হতে দিতে চায় না, যেহেতু এ সংকট মোকাবেলার মতো পর্যাপ্ত প্রস্তুতির আশপাশেও নেই সরকার।

কিন্তু গত দু’দিন থেকে সরকারি হিসাবেই আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃত্যুর হার পৃথিবীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সরকারি দলের একজন সদস্য নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী তো রীতিমতো কারফিউ চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জে।

সরকারের বোঝা উচিত তারা চাক বা না চাক, দ্রুতই সারা দেশে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ঘোষণা করতে হবে। তখন এ প্রান্তিক মানুষদের জীবন বাঁচবে কীভাবে?

এ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের (এডিপি) অর্ধেকেরও বেশি এখনও ব্যয় হয়নি, সবকিছু বন্ধ করে সে টাকা থেকে ব্যয় করে বিপদাপন্ন মানুষকে খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

বিভিন্ন শহরের মোড়ে মোড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের জন্য অপেক্ষা, কিংবা খাবার নিয়ে আসা গাড়িতে হানা দিয়ে জোর করে খাবার নিয়ে যাওয়ার খবর নিয়মিত সংবাদে পরিণত হয়েছে। সরকার কি দেখছে সেসব খবর? অনুমান করতে পারছে কি ভবিষ্যৎ?

ডা. জাহেদ উর রহমান : শিক্ষক, অ্যাক্টিভিস্ট