নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের অপহৃত ছাত্রী উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন আরএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান, পিপিএম বলেন, অপহৃত ছাত্রীকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি কাজী অফিস হতে উদ্ধার করে মতিহার থানা পুলিশ। এইসময় তার সাবেক স্বামী সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ।আসামীকে আটকে আরএমপির মতিহার থানা পুলিশকে সহায়তা করে পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের ইন্টেলিজেন্স উইংস। অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার করে আসামী সোহেল রানাসহ তাদের শনিবার দিবাগত রাত একটায় মতিহার থানায় হাজির করা হয়।এরপর অপহৃত ছাত্রীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়। এছাড়া পরবর্তীতে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ভিকটিমকে। এ ঘটনায় আসামী সোহেল রানাসহ মোট তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে আসামী ও অপহৃত ছাত্রীকে আদালতে উপস্থিত করা হবে। সেখানে অপহৃত ছাত্রীর জবানবন্দি নেওয়া হবে এবং আসামীকে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন।
অপহৃত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, তার মেয়েকে জোর করে কাজী অফিসে নেওয়া হয়েছিল।তার মেয়ে তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে আর ঘর করবে না। তবে তার মেয়ে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরে পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তারা সকাল ৮টার দিকে হল থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। বঙ্গমাতা হলের সামনে পৌঁছুলে তিন যুবক তার পথরোধ করে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায় তারা।
ওই শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি এলাকার। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভিসির বাসভবন ঘেরাওসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
স/শ