নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গাঁজাসহ ৪ ছাত্রলীগ নেতা আটকের পর দু’জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি দুজন পলাতক রয়েছেন। তবে কিভাবে তারা পালিয়ে গেলেন এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মাদক মামলার এক আসামিকে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে ঘুরতে দেখা গেছে।
মতিহার থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) মো. আমিনুর রহমান বাদি হয়ে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এদের মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আর বাকি দুজন পলাতক রয়েছে। আটক দুজনকে আদালতে চালান করা হবে। আর পলাতক দুজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আরিফ বিন সিদ্দিক (রোজেল) এবং জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। অন্যদিকে পলাতক দুই আসামি হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা এ কে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী৷
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন বলেন, আমরা চারজনকে আটক করেছিলাম। এর মধ্যে দুজনকে পুলিশে সর্পোদ করেছি। অন্যদুজন ওয়াশ রুমে কথা বলে পালিয়েছে।
অন্যদিকে সহকারী প্রক্টর পুরণজিত মহলদার বলেন, পালিয়ে যাওয়া দুই শিক্ষার্থী বলেছিল আজ তাদের ফর্ম ফিলামে শেষ দিন। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ফিরে আসবেন এমন শর্তে তারা প্রক্টর দফতর ত্যাগ করেন। তবে পরে আর ফিরে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, জেলে বসেও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়। সেই জন্য আমরা তাদেরকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছি। তবে পুলিশ যদি ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারে আমাদের সহযোগিতা চায়। আমরা সর্বাত্বক সহযোগিতা করব।
ছাত্রলীগ সভাপতির সঙ্গে ঘুরছেন মাদক মামলার পলাতক আসামী:
এদিকে মাদক মামলার পলাতক আসামী রাজুকে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টুকিটাকি থেকে পরিবহন চত্বর গামী রাস্তায় গোলাম কিবরিয়ার পাশাপাশি আরেকটি মোটরসাইকেলে তাকে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমি টুকিটাকি থেকে হলে যাচ্ছিলাম। এসময় রাজু আমার পেছন পেছন আরেকটি বাইকে আসে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতটুকু শুনেছি এ ঘটনার মূলহোতা রাজুর বন্ধু। সে রাজু ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তবে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরা প্রমাণ সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
স/আর
