রাবি ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকে জুনিয়র নেতাদের মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সিনিয়র এক নেতাকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে অপর তিন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাদিকুল ইসলাম আশিক চারুকলা অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। অপরদিকে অভিযুক্ত মারধরকারীরা হলেন, শাফিউর রহমান, হাসিবুল ইসলাম শান্ত এবং সাদাত আনোয়ার। সাদাত ইতিহাস বিভাগের ছাত্রলীগের সভাপতি। বাকি সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। আশিক ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সৌমিত্র কর্মকার রানার অনুসারী।

আশিক অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আমি এক ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে হবিবুর হলের দিকে যাচ্ছিলাম। একই সময়ে ওই রাস্তায় মোটরসাইকেল করে শাফি, সাদাত ও শান্তও যাচ্ছিলেন। তাদের মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করায় তারা আমাদের থামতে বলেন। আমরা হবিবুর হলের সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল থামালে তারা এসে আমার সঙ্গে তর্ক শুরু করেন এবং আমার পরিচয় জানতে চান। আমি পরিচয় দেওয়ার পরও তারা আমার উপর চড়াও হন এবং আমাকে মারধর করেন।’

অপরদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে শান্ত জানান, ‘আশিক বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের অতিক্রম করে। এ সময় সাদাতের হাতের সঙ্গে তাদের মোটর বাইকের ধাক্কা লাগে। পরে আমরা তাদেরকে থামতে বলি। তাদের সঙ্গে আমাদের সামান্য তর্ক হয়েছে। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।’ আরেক অভিযুক্ত শাফিও একই কথা বলেন। তবে সাদাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার পরপরই সৌমিত্র কর্মকার রানা প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার ছোট ভাইকে মারধর করা হয়েছে। আমি দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছাত্রলীগের উর্ধ্বতন নেতাদের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। আমি সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টি দেখবো।’

এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী বাপ্পীকে মারধর করে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী।

 

স/শা