রাবির ক্রপ সায়েন্স বিভাগ: জটিলতা সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার আগেরদিন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড শুরু হয়। একইদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৬ তম সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছে। সভায় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আলী আসগরের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গতবছরের ২১ আগস্ট বিভাগটিতে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে রুল জারি করেন আদালত।

বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেন, বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে প্ল্যানিং কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই। আর রায় ঘোষণার আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সন্ধ্যায় সিন্ডিকেটের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

এদিকে, নিয়োগ বোর্ড শুরু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। তারা এই শিক্ষক নিয়োগকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করেন এবং তা বন্ধের দাবি জানান। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলী আসগর অভিযোগ করেন, মামলার রায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিপরীতে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে প্রশাসন রায়ের পূর্বে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চায়।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর তিনটি পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ওই সময় ৩৮টি আবেদন জমা পড়ে। তবে ওই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ হয়নি। পরবর্তীতে গতবছরের ৩০ জুলাই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই প্রভাষক পদে আবেদনের জন্য এগ্রিকালচারাল ক্যামেস্ট্রি নামে নতুন একটি বিষয় বিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিট করেন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলী আসগর। গতবছরের ২১ আগস্ট বিভাগটিতে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ২৭ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ৪৭জন আবেদন করে।

রায় ঘোষণার আগে শিক্ষক নিয়োগ অবৈধ মন্তব্য করে বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়া বলেন, আদালত বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবীকে বলেছেন রায় ঘোষণার পূর্বে প্রশাসন যেন কোনো কিছু প্রসিড না করে। প্রসিড করলে আদালত তার আইনানুযায়ী পানিশমেন্টের ব্যবস্থা করবেন। এখন প্রশাসন নিয়োগ দিলে সেটি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দসু সোবহানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

স/অ