রাবিতে শিক্ষার্থীদের ‘অসহায়ত্বের’ সুযোগ নিচ্ছে ডাইনিং মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মেয়েদের তিনটি হলে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই খেয়াল খুশিমতো খাবারের দাম নিচ্ছে ডাইনিং মালিকরা। এ ছাড়া আরও একটি হলে ক্যান্টিনেও খাবারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- এ ব্যাপারে হল কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ডাইনিংয়ের খাবার নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও দাম বেশি নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তবে বেশি টাকা নেওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোজনালয় শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়।

জানা যায়, বিশ^বিদ্যালয়ের রহমতুন্নেছা হলে দুপুরের খাবারের মূল্য ২৭ টাকা এবং রাতের খাবারের মূল্য ২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। মন্নুজান হলে দুপুরের খাবারের মূল্য ২৫ টাকা এবং রাতের খাবারের মূল্য ২০ টাকা নেয়া হচ্ছে। তাপসী রাবেয়া হলেও এভাবে বেশি মূল্য নেয়া হচ্ছে। অথচ চলতি বছরের জুন মাসে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুপুরের খাবার ২৪ টাকা এবং রাতের খাবারের দাম ১৮ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জেম মনি বলেন, ‘নির্ধারিত মূল্য না মেনে গত রোববার দুপুর থেকে কোন নোটিশ ছাড়াই খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। বিষয়টি হল প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু আজও দেখছি ওই বেশি মূল্যেই খাবার বিক্রি করা হচ্ছে।’

তাপসী রাবেয়া হলের আসমা সিদ্দিকা বলেন, ‘হল প্রশাসন আমাদের উপর রীতিমতো জুলুম করছে। একে তো তারা মূল্য বেশি নিচ্ছে তার উপর বস্তাপর্চাঁ সব খাবার দিচ্ছে ডাইনিংয়ে।’

এ ব্যাপারে ভোজনালয় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হক চাঁদ আলী সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘দুইটাকা খুচরা না থাকায় খাবারের সাথে অতিরিক্ত ভর্তা দেওয়া হয়। এজন্য দুইটাকা বেশি নিচ্ছি। তবে এতে আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। আমরা অতিরিক্ত কোন টাকাই নিচ্ছি না।’

মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিন্নাত ফেরদৌসী বলেন, ‘ডাইনিংয়ে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়ে থাকলে অবশ্যই তা বন্ধ করা হবে।’

বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘খাবারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি দেখার দায়িত্ব হল প্রশাসনের। হল প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে।’
স/শ