শুক্রবার , ১০ মার্চ ২০২৩ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

চরম অব্যবস্থাপনায় রাবির বঙ্গবন্ধু হলের রিডিং রুম

Paris
মার্চ ১০, ২০২৩ ১:০০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঘুণে খাওয়া কাঠ, জরাজীর্ণ টেবিল, আছে আসন সংকট, নেই পর্যাপ্ত বই রাখার তাক, বিদ্যুৎ চলে গেলে নেই আইপিএসের ব্যবস্থা। চিত্রটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের রিডিং রুমের।

এমন দুর্দশার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বার বার অভিযোগ দিলেও হল প্রশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মাত্র ৩০ আসনবিশিষ্ট রিডিং রুম। যা শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট নয়। চেয়ার সংকট থাকায় ডাইনিং থেকে বেঞ্চ নিয়ে এসে কষ্ট করে পড়াশোনা করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও নেই কোনো আইপিএসের ব্যবস্থা। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে মোবাইলের আলো জ্বেলে পড়তে হয় তাদের। বই রাখার জন্য নেই কোনো বুকসেলফও। পড়ার টেবিলেই বই গাদাগাদি করে রেখেই পড়তে হচ্ছে।

বই সংরক্ষণের জন্য রিডিং রুমের চারটি ডেস্ক থাকলেও কয়েক বছর ধরে তালাবদ্ধ পড়ে আছে। যা কোনো কাজেই লাগছে না।

রিডিং রুমের দুরবস্থা নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাবিব রেজা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জ্ঞান চর্চার অন্যতম কেন্দ্র হলো রিডিং রুম। যা থাকবে গোছানো পরিপাটি ও শিক্ষার্থীবান্ধব। কিন্তু আমাদের হলের রিডিং রুমের টেবিলগুলো কাঠ পোকায় খাচ্ছে। বই রাখার কোনো তাকের ব্যবস্থা নেই। ফলে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়। এত অল্প আসন যে জায়গা না পেয়ে অনেক সময় ফিরে যেতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে আইপিএস থাকে অথচ রিডিং রুমে নেই কোনো ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ চলে গেলে ফোনের আলো জ্বেলে পড়তে হয়। যা খুবই লজ্জাজনক। হল প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানালেও পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা দ্রুত এর সংস্কার চাই।’

তুহিনুজ্জামান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রিডিং রুম আকারে ছোট। আইপিএস ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে পড়াশোনা করতে অনেক সমস্যা হয়। বই রাখার কোনো সেলফ নেই। নেই পর্যাপ্ত চেয়ার টেবিলের ব্যবস্থা। এছাড়া রুমে ওয়াইফাইয়ের পর্যাপ্ত গতির সমস্যা আছে। রিডিং রুমের পাশে একটি শৌচাগার থাকলেও সেটা শুধু হল অফিসের কর্মকর্তারা ব্যবহার করেন। অন্য সময় তালাবদ্ধ দেখা যায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ শাইখুল ইসলাম মামুন জিহাদ বলেন, হলের শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে রিডিং রুমের আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য লিখিত আবেদন দিয়েছেন। আমরা সেটি বিবেচনা করে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে এখনো আমরা কোনো রকম আশ্বাস পাইনি। আমরা চাইলেই রিডিং রুমের আসন সংখ্যা বাড়াতে পারবো না। এর জন্য প্রয়োজন মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু এত টাকা হল প্রশাসনের নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর