দেশে মোবাইল-ল্যাপটপের বাজার দেড়শো কোটি ডলারের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দেশে মোবাইল ও ল্যাপটপের বাজার বেড়ে প্রায় দেড়শো কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

যেখানে আগের চেয়ে বাজার বেড়ে মোবাইল ফোনের বাজার দাঁড়িয়েছে ১১৮ কোটি মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ল্যাপটপের বাজার হয়েছে ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের।

প্রায় দেড়শো কোটি মার্কিন ডলারের এই বাজার ধরতে অনেক প্রতিষ্ঠান স্থানীয়ভাবে উৎপাদন ও সংযোজন কারখানা করছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন বা আইডিসি।

আইডিসির হিসাব বলছে, শুধু গত বছরেই দেশে মোবাইল ফোন আমদানি হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লাখ। তাই বিশাল এই বাজারে বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেছে আইডিসি।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ‘ড্রাইভিং এ ডিজিটাল বাংলাদেশ থ্রু হাইটেক ম্যানুফ্যাকচারিং’ র্শীষক এক প্রতিবেদন তুলে ধরে আইডিসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে পাওয়া যায় এসব তথ্য।

আইডিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে মোবাইল ফোনের ব্যবসায় সফলতার সুযোগ বেশি এবং বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানি যেমন-ওয়ালটন, সিম্ফনি, স্যামসাং, ট্রান্সশান হোল্ডিংস ইতোমধ্যে যন্ত্রাংশ সংযোজন কারখানাও নির্মাণ করেছে।

এছাড়াও হুয়াওয়ে দেশের আইসিটি খাতের নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করছে। শাওমিও আগামী দু বছরের মধ্যে দেশে মোবাইল সংযোজন কারখানা করতে পারে বলেও রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে।

আইডিসি তাদের প্রতিবেদনে বলছে. দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন দেশে রেফ্রিজারেটর, টিভি, ফ্রিজ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাপ্লায়েন্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের মতো পণ্যতে অনেকেটাই শীর্ষে অবস্থান করছে। প্রতিষ্ঠানটি এর বাাইরেও মোবাইল এবং ল্যাপটপ সংযোজন শুরু করেছে। যার ফলে অভ্যান্তরীণ বাজারও বাড়ছে বলে উঠে এসেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের বাজারে প্রথম কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের বিক্রির সময় বেশিরভাগ ক্লোন বা  ব্র্যান্ডবহীন ডেস্কটপ বিক্রি হত। বিদেশ থেকে নানা যন্ত্রাংশ  এনে বিক্রি করা হত। এখন এই চিত্র পাল্টে গেছে। আগে ফিচার ফোনের ব্যবহারকারী বেশি ছিল, কিন্তু এখন স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ছে।  ফোরজির ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি এই সংখ্যা আরো বহু গুনে বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে বিদেশী নির্ভরতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এতে বেশ সফলতাও আসছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের তৈরি অনেক ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

বোস্টন কনসালটিং গ্রুপ (বিসিজি) কুয়ালালামপুর অফিসের পার্টনার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারিফ মুনির বলেন, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডে পরিণত করতে যে সকল বাধা রয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা জরুরী সেসব সম্পর্কে বাংলাদেশের সরকার অবগত আছে।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিসিজির গ্লোবাল চেয়ারম্যান ড.হান্সপল বার্কনার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজসহ আরো অনেকে।