রাবিতে করোনায় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট ও উত্তরণশীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্টুডেন্টস এগেইন্টস ভায়োলেন্স এভ্রিহোয়ার(সেইভ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের আয়োজনে ‘শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন মানসিক স্বাস্থ্যঃ সংকট ও উত্তরণ’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।অনলাইন সেমিনারটি শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় শুরু হয়ে প্রায় ১০ টা পর্যন্ত চলে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা। এতে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মুর্শিদা ফেরদৌস বিনতে হাবিব ওঅধ্যাপক তানজীর আহমেদ তুষার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সেইভ এর ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ড. আইনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সেইভ রাবি চ্যাপ্টারের মডারেটর মামুন আ. কাইউম।ওয়েবিনারে বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়ের শতাধিক শিক্ষক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর ঘরবন্দী জীবনযাপনের ফলে শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। বিশ্বব্যাপী করোনার সঙ্কটে চারপাশে আক্রান্ত, মৃত্যু, অত্যাধিক ইন্টারনেট আসক্তি, অপ তথ্যের ব্যবহার, অফলাইনে শিক্ষা ও শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের অভাব মাঝেমাঝে তাদের জীবনের উপর বিরক্তি আনছে। অনেকে জীবনকে অর্থহীন ভাবা শুরু করেছে এবং বিভিন্ন সামাজিক পরিমন্ডলে অভিযোজন না করতে পারার কারণে আত্মহত্যারও ঘটনা ঘটাচ্ছে-যা অপ্রত্যাশিত।

বক্তারা শিক্ষার্থীদের আগামীদিন গুলোর জন্য এখন থেকেই পড়াশুনা ও বিভিন্ন সৃষ্টিশীল কাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা আরো বলেন, সেটি না নিতে পারলে করোনা পরবর্তী প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সাথে খাপ খাওয়াতে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আর এ কাজগুলোর মাধ্যমে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে পারলে নিজের ভালো থাকার পাশাপাশি অন্যকেও ভালো রাখা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভালো না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারও ভালো থাকে না। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন শিক্ষার্থীদের খুুব দ্রুতই ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শেষ করে স্বশরীরে শিক্ষাকার্যক্রম চালু করা যাবে। যদি কোনো কারণে তা দেরী হয় তাহলে অনলাইন পরীক্ষার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে  ১৫০০ এর বেশি সদস্য নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেইভ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের মাইক্রোগভার্নেন্সরিসার্চ ইনিসিয়েটিভ এর উদ্যোগে এতে কারিগরী সহায়তা দিচ্ছে উন্নয়ন সংস্থা আইএফইএসএবং ইউকেএইড। সংগঠনটির বাংলাদেশের  যুবকদের মধ্যে শান্তি, সহনশীলতা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে।

স/জে