রাণীনগর-আত্রাইয়ের বয়তুল্লাহ সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে ধ্বস

রাণীনগর প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলাবাসীর যোগাযোগের জন্য আত্রাই নদীর উপর নির্মাণ করা হয় সাবেক ডেপুটি স্পীকার মরহুম বয়তুল্লাহ এর নামে বয়তুল্লাহ সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর রাণীনগরের উদ্যোগে রাণীনগর ও আত্রাই দুই উপজেলার জামালগঞ্জ-বান্দাইখাড়া নামক স্থানে এই সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের শেষের দিকে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও দীর্ঘদিন কোন সংস্কার কাজ না করায় ও কাজ নিম্মমানের হওয়ায় রাণীনগর ও আত্রাই অংশের সংযোগ সড়কে মারাত্বক ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে।

সংযোগ সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বিশেষ করে আত্রাই অংশের সেতুর পাশের সংযোগ সড়কে বড় বড় গর্ত ও মাটি দেবে যাওয়ায় বয়তুল্লাহ্ সেতু এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৯ কোটি ৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৫ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে নওগাঁর সড়ক ও জনপদ বিভাগ হতে স্থানান্তরিত ১৭৫ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ প্রকল্পটি জিওবি তহবিলের আর্থিক সহযোগিতায় রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলীর বাস্তবায়নে গত ২০১২ সালের ১৬ জুলাই দরপত্রের বিজ্ঞতি প্রকাশের পরে বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার মহল্লার এস এন্ড এফ জেভি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বতাধিকারী সোহেল এর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগেই সেতুর উপর দিয়ে হালকা যানবাহন ও পায়ে হেঁটে লোকজন চলাচল শুরু করে। পরবর্তীতে এই জনপদের বসবাসকারী প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, সেতুর সংযোগ সড়কের পশ্চিম অংশের ধ্বস ঠেকাতে সরকারি পর্যায়ে কোনো সহযোগিতা না পেলেও স্থানীয়রা বাঁশের পাইলিং করে আপাতত রক্ষা হলেও যেকোনো সময় ভারি যানবাহন ব্রিজে উঠতে গেলেই ধ্বসে পড়ার আশংকা রয়েছে। প্রতিদিন আতংক নিয়েই এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। বয়তুল্লাহ সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের যে অবস্থা, অচিরেই এর সংস্কার করা না হলে যে কোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্টদের যথাযথ নজরদারির অভাবে যে কোন সময় সড়কের মাটি ধ্বসে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, ইতোমধ্যেই রাণীনগর অংশের সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে এবং আত্রাই অংশের কাজও এইচবিবি করে কার্পেটিং করে পাকা করা হবে বলে জানান তিনি।

 

স/শা