রাণীনগরে ১৭দিনেও ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে বুদ্ধি ও বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। ২৪ বছর বয়সী ওই যুবতীকে ৬০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেন বলে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছিলো উপজেলার আতাইকুলা পালপাড়া গ্রামে।

অভিযুক্ত আসামি হলেন, উপজেলার আতাইকুলা পালপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্রের ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র ওরফে সুটকা পাল (৬০)।

জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় গোবিন্দ চন্দ্র ওরফে সুটকা পাল একই গ্রামের একই সম্প্রদায়ের এক বুদ্ধি ও বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীকে বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে কৌশলে তার বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। পরে প্রতিবন্ধী যুবতী বাড়িতে এসে কিছুটা ইশারা ইঙ্গিতে তাকে ধর্ষণের কথা বলে এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভবের কথা বলে।

বিষয়টি ধীরে ধীরে জানাজানি হয়। এরপর থেকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এছাড়া তারা অভিযুক্ত ধর্ষককে কৌশলে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এ ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধীর বাবা বাদী হয়ে ১২ এপ্রিল গোবিন্দ চন্দ্র ওরফে সুটকা পালকে আসামি করে রাণীনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার দিনই দুপুরে যুবতীকে মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন করা হয়। মামলার ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি রাণীনগর থানা পুলিশ। ফলে সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে পরিবারের লোকজন শঙ্কায় রয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধীর মা বলেন, মামলার আসামি গোবিন্দ চন্দ্র ওরফে সুটকা পাল এখনো গ্রেফতার হয়নি। তবে পুলিশের লোকজন আমাদেরকে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশার পাশাপাশি এতো দিনেও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সেলিম জানান, ধর্ষক পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের যে প্রান্তেই থাকনা কেন সন্ধান পাওয়া মাত্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া সুষ্ঠু বিচারে যতটুকু আইনি সহায়তা প্রয়োজন তা করা হবে।

স/শা