রাণীনগরে সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইয়ের অভিযোগ

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার টুং গ্রামে বাবা-মা’র সম্পত্তি থেকে ভাই-বোনদের বঞ্চিত করতে নানা ভাবে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের মোরশেদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সম্পত্তির দখল নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংর্ঘষ ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন অভিযোগকারী।

উপজেলার একডালা ইউনিয়নের টুং গ্রামের ভুক্তভোগী নুর হোসেন সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে তার মেঝ ভাই মোরশেদ এর বিরুদ্ধে রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারী উপজেলার টুং গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে নুর হোসেন জানান, গত ৩০-৩৫ বছর আগে বাবা বাহার আলী মারা যান। মৃত্যুকালে বেশ কিছু সম্পত্তি রেখে যান। সেই থেকে আমরা ভাই-বোন মিলে সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছি। এরই মধ্যে মা’ তার ৪৭ শতক সম্পত্তি আমাদের ভাই-বোনদের লিখে দেন। এরপর হঠাৎ করেই ভাই মোরশেদ একটি দলিল বের করে বাবা তাকে লিখে দিয়েছে মর্মে সম্পত্তি দাবি করে। এরপর আমাদেরকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা থানায় হাজির হলেও ভাই মোরশেদ থানায় না গিয়ে আমাদের সম্পত্তি দখল করে ভোগ দখলসহ আমাদেরকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে।

নুর হোসেন আরো জানান, এক প্রতিবন্ধি ভাইকে তিনি ভাত-কাপড় দিয়ে লালন করছেন। এছাড়া মা’কে দীর্ঘদিন দেখা শোনার পর বোন প্রায় ১০ বছর ধরে মাকে তার বাড়িতে নিয়ে দেখা শোনা করছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশার উদ্যোগ নিলেও মোরশেদ বৈঠকে হাজির না হয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভিতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। ইতি মধ্যে জমিতে গেলে আমাদেরকে হাল চাষে বাধা দিয়ে তুলে দিয়েছেন। সম্পত্তির দখল নিয়ে যে কোন সময় সংর্ঘষ বাধতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি। এ ঘটনায় সংর্ঘষ এড়াতে এবং সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে নুর হোসেন রাণীনগর থানায় তার ভাই মোরশেদ এর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে মোরশেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যে পরিমান সম্পত্তি পাবো সেগুলো ভাই-বোন আমাকে দিচ্ছেনা। তারাই জমিতে ধান রোপন ও দখলে বাধা দিচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।

রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, ভাই-বোনদের সম্পত্তি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরে মোরশেদ হোসেন আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন এবং ওই বিবাদমান জায়গায় শান্তি বজায় রাখতে আদালত ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা জারি করেছে। যদি কেউ শান্তি ভঙ্গ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।