রাণীনগরে নিরাপত্তাকর্মী নিচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস 

রাণীনগর  প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী শাহীনুর আলমের বিরুদ্ধে নিজের দায়িত্ব পালন না করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করানোর অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে যোগদানের পর থেকেই সভাপতির ছেলে হওয়ার দাপটে বিদ্যালয়ের ক্লাস করাচ্ছেন ।

জানা যায়, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে উপজেলার শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। চলতি বছরে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে শাহীনুর আলমকে নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। সে অনুসারে শাহীনুর নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে গত ৪ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর কয়েকদিন নিজের দায়িত্ব পালন করেই শাহীনুর হয়ে  যান বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সে ষষ্ঠ শ্রেণী এবং সপ্তম শ্রেণীর সমাজ ও আইসিটি বিষয়ে ক্লাস নেয়।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায় ,  নিরাপত্তাকর্মী শাহীনুর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ছেলে। সে সভাপতির ছেলে হওয়ার দাপটে ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে যোগদানের পর থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করান। তার দায়িত্বের কাজও তিনি করেন না।এতে করে নিরাপত্তাকর্মীর ভুলভাল সেখানো লেখাপড়ায় দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীররাসহ অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের একজন নিরাপত্তাকর্মী হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কিভাবে ক্লাস করান। বিষয়টি জানার পর আমরা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে বলেছি। এরপরও তারা এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এই বিষয়ে  জানতে চাইলে শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী শাহীনুর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটের কারণে আমার যোগ্যতা (বি বি এ) থাকায় আমাকে দিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ষষ্ঠ শ্রেণী ও সপ্তম শ্রেণীর সমাজ ও আইসিটি বিষয়ে ক্লাস করিয়ে নিচ্ছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি ক্লাস করাচ্ছি।

এ ব্যাপারে শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট। সেই কারনেই বাধ্য হয়ে নিরাপত্তাকর্মী শাহীনুর বি বিএ পাস হওয়ার কারণে তাকে দিয়ে দুই-একটা বিষয়ে ক্লাস করিয়ে নেওয়া হয়। নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্ব পালন কে করেন এমন প্রশ্নে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জে /এইচ