রাণীনগরে খাস পুকুরে মাটি ভরাট করে জায়গা দখলের অভিযোগ

সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার চামটা নন্দীভিটাপাড়া গ্রামে একটি সরকারি খাস পুকুরে মাটি কেটে ভরাট করে প্রায় ৮ শতাংশ খাসের জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ৮১ শতাংশ ওই খাস পুকুরটি দিনে দিনে দখল হতে হতে বর্তমানে ছোট একটি ডেবাই পরিণত হয়েছে। আর সরকারি খাসের পুকুরটি অবৈধভাবে অন্যের দখলে গেলেও নিরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দ্রæত দখল হওয়া খাস পুকুরের জায়গাটি দখল মুক্ত করতে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসি।

জানা গেছে, উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের চামটা নন্দীভিটা পাড়া গ্রামে ১ নং খাস খতিয়ান ভূক্ত ১৩৫৭ দাগে ৮১ শতাংশ একটি খাস পুকুর রয়েছে। পুকুরটি সরকারি ভাবে লিজ দেওয়া হয়। এতে করে লিজের মাধ্যমে রাজস্ব পান সরকার। হটাৎ করে প্রায় ১ মাস আগে নন্দীভিটা পাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ওসমান আলী সাকিদার তার নিজস্ব কিছু ও খাসের কিছু জায়গা থেকে স্কেবেটার (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ওই পুকুরের মধ্যে ভরাট করে পুকুরের মধ্যে স্থলের প্রায় ৮ শতাংশ জায়গা অবৈধ ভাবে দখলে নেয়। এরপর অবৈধ ভাবে দখলে নেয়া ওই খাসের জায়গার ধারে কিছু গাছও রোপণ করেন। গত কয়েকদিন আগে দখলকৃত ওই জায়গার পাশ দিয়ে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারাপিটের ঘটনাও ঘটেছে। ওই পুকুরের জায়গা দখলে করাকে কেন্দ্র স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিজার করছে। আর বিষয়টি জানার পরেও নিরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয়রা বলছেন, ৮১ শতাংশ পুকুরটি সরকারি ভাবে লিজ দেওয়া হতো। অনেকেই লিজ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। কিন্ত হটাৎ করে ওসমান আলী সরকারি খাস পুকুরের মধ্যে দিয়ে মাটি কেটে ভরাট করে প্রায় ৮ শতাংশ পুকুরের মধ্যে স্থলের জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে। এছাড়া পুকুরের আশে পাশের বসবাসরত লোকজন ওই খাস পুকুরের বেশ কিছু জায়গা দখল করেছে। এতে করে বর্তমানে খাস পুকুরটি ছোট একটি ডোবাই পরিনত হয়েছে। ফলে রাজস্ব হারাতে বসেছে সরকার। দ্রুত অবৈধ ভাবে দখলে নেয়া পুকুরটি দখল মুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

এ ব্যাপারে খাস পুকুরের জায়গা দখলকারী ওসমান আলী সাকিদার বলেন, সবাই দখল করছে দেখে আমিও পুকুরে মাটি কেটে ভরাট করে দখলে নিয়েছি। সরকার যদি সবার খাস জায়গা ফেরত নেয় আমিও দিয়ে দিবো।

রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর স্থানীয় তৈহশিলদারকে পাঠিয়েছি। তিনি এখনো কোন প্রতিবেদন আমাকে দেয়নি তবে খাস পুকুরের জায়গা দখলে নেয়ার বিয়ষটি নিশ্চিত হয়েছি। আইনী প্রক্রিয়া অনুযায়ী দ্রুত ওই খাস পুকুরের জায়গা দখল মুক্ত করাসহ দখলকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

স/জে