রাণীনগরে আইন-শৃংখলা অবনতির প্রতিবাদে চেয়ারম্যানদের ওয়াক আউট

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় জনপ্রতিনিধির বসত বাড়িতে ককটেল হামলা, প্রকাশ্য দিবালোকে মারপিট ও পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে উপজেলার সার্বিক আইন-শৃংখলার অবনতি হওয়ার প্রতিবাদে মাসিক আইন-শৃংখলা সভা চলাকালীন সময়ে ইউপি চেয়ারম্যানরা ওয়াক আউট করে। রাণীনগর উপজেলা পরিষদের ইতিহাসে এই প্রথম জনপ্রতিনিধিরা আইন-শংখলার অবনতি ও নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে আইন-শৃংখলা সভা থেকে ওয়াক আউট করে।

গত প্রায় ৪ মাস আগে উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র বিজয়ের মোড় নামক স্থানে প্রকাশ্য দিবালোকে ১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো: আসাদুজ্জামান পিন্টুকে কতিপয় দূর্বৃত্তরা বেধর মারপিট করে তার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। বেশ কিছু দিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে সম্প্রতি দাপ্তরিক কাজে নিয়মিত হতে না হতেই সোমবার গভীর রাতে তার বসত বাড়িতে কে বা কাহারা বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিকট শব্দে চার দিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান পিন্টু বাড়িতে থাকলেও তারা এবং পরিবারের কোন সদস্যের ক্ষতি হয়নি।

তবে বাড়ির মূল গেট, পাশের জানালা ও ছাউনির টিনের ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে রাণীনগর থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনে থানাপুলিশের ঢিমে তালে পথ চলা এবং প্রকৃত অপরাধীদের ও সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভা চলাকালীন সময়ে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একযোগে ওয়াক আউট করে।

এব্যাপারে ৩ নম্বর গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খান হাসান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান পিন্টুকে কতিপয় চিহ্নিত দূর্বৃত্তরা বেশকিছু দিন ধরে প্রাণনাশের চেষ্টা করছে। এর ধারাবাহিকতায় গত প্রায় ৪ মাস আগে প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে হত্যার উদ্দ্যোশে জখম করা হয়। সেই যাত্রাই প্রাণে বাঁচলেও পিছু ছাড়ছে না তারা। সোমবার রাতে তাকে উদ্দ্যোশ করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়গুলো বারবার আইন-শৃংখলা সভায় থানা পুলিশকে অবগত করা হলেও রহস্যজনক কারণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সঠিক তদন্ত ও দোষিদের গ্রেফতারের দাবিতে আইন-শৃংখলা সভা চলাকালীন সময়ে একযোগে আমরা ওয়াক আউট করি।
স/শ