মান্দায় দুলাভাই শ্যালিকা আপত্তিকর অবস্থায় আটক: ভিন্নখাতে প্রবাহিত হওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁর মান্দায় আপত্তিকর অবস্থায় দুলাভাই নাজমুল ও শ্যালিকাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে নামমাত্র একটি মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার সারাদিন দফায় দফায় বৈঠক শেষে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুলিশ মামলা দিয়ে সোমবার দুলাভাই নাজমুলকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্জল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানার ওসি একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেন। নাজমুল রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার কেশরহাটের মাতুল্ল্যার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের রফাতুল্যার মেয়ে জোসনা আকতারের সাথে কতকতৈল গ্রামের নাজমূলের বিয়ে হয়। গত শনিবার নাজমুল শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে রাতে শ্যালিকার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় শ্যালিকার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বাড়িতে এসে দেখেন ভায়রা ও তার স্ত্রী দুজনে ঘরের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় আছে। এরপর তিনি এলাকাবাসীদের খবর দিয়ে তাদের সহযোগীতায় আটক করে স্থানীয় ৯নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যান।

ঘটনা শোনার পর ইউপি চেয়ারম্যান ব্রজেন্দ্রনাথ প্রামানিক শালিসের মাধ্যমে নাজমুল হকের মোটা অংকের টাকা জরিমানা করেন। নাজমুল জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকার করায় চেয়ারম্যান ক্ষুদ্ধ হয়ে থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে মান্দা থানার উপপরিদর্শক সুজন আলী খান ও উপপরিদর্শক সাবিনুরসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে থানায় দিনভর দফায় দফায় দেনদরবার চলে। কিন্তু শ্যালিকার স্বামী বাদী হয়ে রোববার রাতেই নাজমুলের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিলেও নানা কারণে ও পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় তা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান ও ওসি একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেন।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আমিন মোল্লা সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আপত্তিকর ঘটনা শুনার পর রাতেই ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়ে আটক নাজমুলকে নিরাপদে রাখার জন্য বলা হয়। রবিবার সকাল ১০টায় তাকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এরপর মেয়েকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ব্রজেন্দ্রনাথ প্রামানিক শালিসের জরিমানার বিষয়টি অস্বীকার করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ওই মেয়ের সাথে তার দুলাভাইয়ের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি এর আগেও চারবার অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল। আপত্তিকর অবস্থায় আটকের পর নাজমুলকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, টাকার কোন দেনদরবার হয়নি। ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স/শ