রাজশাহী-৫ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন ঢাকায়

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

একাশদ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তফশিল এ মাসেই হতে পারে এমনটাই মনে করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তাই এমন সম্ভাবনায় টিকিট পেতে রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন ঢাকায়। তারা শেষ মুহুর্তে দলীয় মনোনয়ন পেতে দিন রাত ঢাকায় অবস্থান করছেন। মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য নিজ নিজ দলের হাই কমান্ড নেতাদের সঙ্গে তারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

এই আসনের বর্তমান সাংসদ রয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল ওয়াদুদ দারা। তিনি ছাড়াও দলের মনোনয়নের আশায় মাঠে রয়েছেন জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরদার, জেলা আ.লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মনসুর রহমান, ব্যবসায়ী আবু সায়েম ও আসিফ ইবনে আলম তিতাস জেলা মহিলা যুবলীগের সভানেত্রী নার্গিস শেলী।

এদিকে বিএনপিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন দুইবারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ নাদিম মোস্তফাসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কৃষক দলের সদস্য সিরাজুল করিম (সনু),বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল, দুর্গাপুর দেলুয়াবাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম সাকলায়েন, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খায়রুল ইসফাক হক শিমুল।

এছাড়াও জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক এমপি অ্যধাপক আবুল হোসেন। রাজশাহী-৫ আসনটি দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলা মিলে গঠিত। এই দুই উপজেলায় দুইটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

বর্তমানে এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা হলো ২ লাখ ৭২ হাজার ১৩৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৭ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৯।

জানা গেছে, দুর্গাপুর-পুঠিয়ায় আসনে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হন তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন মুসলিম লীগের অ্যাডভোকেট আয়েন উদ্দিন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী এ্যাডঃ নাদিম মোস্তফা।

২০০১ সালেও তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তাফা। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাদিম মোস্তফার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হলে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে আংশ গ্রহন করতে না পারায় ওই নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডলকে। যার ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীর আব্দুল ওয়াদুদ দারার হাতে চলে যায় আসনটি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয়বার মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন দারা।

স/আর