রাজশাহী বিভাগে আ’লীগের গ্রুপিং ভিতরে ভিতরে, কোথাও প্রকাশ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী অঞ্চলের আট জেলায় ক্ষমতাসিন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে লবিং-গ্রুপিং অনেকটা ভিতরে ভিতরে। আবার কোথাও কোথাও প্রকাশ্যেও রয়েছে। প্রকাশ্যে গ্রুপিং রয়েছে সবচেয়ে বেশি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। এর বাইরে এতোটা কোন্দল বিভাগের আর কোথাও নাই। তবে বিভাগের উপজেলাগুলোতে অধিকাংশ স্থানীয় এমপির সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের রয়েছে চরম কোন্দল।

 

 

রাজশাহীতে জেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে অন্তত তিন এমপির রয়েছে চরম কোন্দল। বিশেষ করে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন এবং রাজশাহী- (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের কোন্দল অনেকটা প্রকাশ্য। জেলার পবায় সম্প্রতি দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওদুদের সঙ্গে রয়েছে শিবগঞ্জ আসনের এমপি গোলাম রাব্বানির দ্বন্দ্ব। নাটোরে এমিপ শিমুলের সঙ্গে দলের একটি অংশের নেতাকর্মীদের রয়েছে বিরোধ তুঙ্গে। বগুড়ায় জেলা সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের সঙ্গে দলের একটি অংশের নেতাকর্মীদের বিরোধ থাকলেও সেটি প্রকাশ্য নয়। মমতাজের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
এর বাইরে বিভাগের আর কোনো জেলায় প্রকাশ্যে জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে লবিং-গ্রুপিং-এর খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিভাগের অধিকাংশ উপজেলাতেই স্থানীয় এমপিদের সঙ্গে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের রয়েছে চরম দ্বদ্ব ও লবিং-গ্রুপিং।

 

স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে সমকালের সাংবাদিক শিমুল খুনের শিকারও হন। এছাড়াও প্রায়ই বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে স্থানীয় এমপিদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে।

 

তবে এসব প্রসেঙ্গ জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, রাজশাহী জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে দলের নেতাকর্মীদের বিরোধ আছে কিছুটা। তবে এগুলো মিটিয়ে নিতে নির্দেশনা দেয়া আছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।