রাজশাহী বিএনপি নেতা নজরুল হুদার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ  

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদার বিরুদ্ধে মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৬ জুলাই) রাত পৌনে ১১ টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সোনাদীঘির মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাত আহত ওই কর্মীর নাম আবু সাঈদ (৩৫)। তিনি নগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে। বর্তমানে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ০৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের ০৮ নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আবু সাইদের মাথার পিছনে বেশ কিছু গুরুতর জখম রয়েছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন।
এ ঘটনায় আবু সাইদের সাথে থাকা মহানগর বিএনপির সদস্য ইমন ( ৪৩) কে আটক করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত আবু সাইদ জানান, নজরুল হুদা ও তার নেতাকর্মীরা সোনাদীঘির মোড় এর একপাশে বসে গল্প করছিলেন । এসময় তাদের অন্যপাশে আমরা মোটরসাইকেল রেখে চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়ালে বিষয়টি নজরুল হুদার সেন্টিমেন্টে লাগে। এসময় সে এবং তার নেতাকর্মীরা আমাদের উপর চড়াও হয়।
একপর্যায়ে নজরুল হুদা এবং তার সঙ্গীরা এলোপাতাড়িভাবে আমাকে দা এবং ছুরিকাঘাত করতে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান তিনি।
তবে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু সাইদকে পেটানো ও ছুরিকাঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করছেন বিএনপি নেতা নজরুল হুদা। তিনি বলেন, সোনাদীঘির মোড়ে আমরা বসে ছিলাম। এসময় সাইদ ইমনরা আমার সামনে মোটরসাইকেল রেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আমার হাতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণ তাদের ধরে মারধর করে ইমনকে পুলিশে দেয়।
এ বিষয়ে রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি নিয়ে পূর্ব থেকে একটি দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সেই ঘটনা থেকে এটি হতে পারে। তবে নিশ্চিতভাবে এখনো কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।এছাড়াও কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জি/আর