রাজশাহীতে তারেক রহমানের ১৩তম কারামুক্তি দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান,  তারেক রহমানের ১৩তম কারামুক্তি দিবস আজ। এ উপলক্ষে জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল, মৎস্যজীবীদল, তাঁতীদল, ওলামাদল, মহিলা দল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দোয়া ও অসহায়-দুস্থ্যদের মধ্যে খারার বিতরণ করা হয়।

নগরীর গনকপাড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দোয়া ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আল আমিন সরকার টিটু। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর আলম সমাপ্ত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার মন্ডল, সদস্য আবু বককর সিদ্দিক, এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সদস্য এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মন্টু, সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সামাদ,

সৈয়দ মহসিন, নুরুজ্জামান খান মানিক, তাজমুল তান টুটুল, গোলাম মোস্তফা মামুন, তোফায়েল হোসেন রাজু, আমিনুল হক মিন্টু, কামরুজ্জামান আবু হেনা, সাবেক ভবাসীগঞ্জ পৌর সাবেক মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, আলা হোসেন ও শাহাদৎ হোসেন, পবা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম, কুতুব উদ্দিন বাদশা, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি।
আরো উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামান পরাগ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিটন, জেলা মহিলা দলের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন, প্রচার সম্পাদক উম্মে হানি, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তোতা, তাঁতি দলের সভাপতি শানাউল হক,

জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক সার্জেন্ট বিপ্লব ও শাহজাহান আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম টুটুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সরকার ডিকো, সহ-সভাপতি আরেফিন কনক, লতিফুর রহমান সাগর, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহনেয়াজ রিজভী ও ক্রীড়া সম্পাদক বাতেনসহ আয়োজক দলের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ্য পুত্র, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদেশের আগামীর রাষ্ট্র নায়ক। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা নন।

তিনি এখন বিশ্বের একজন তরুন নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি সুদুর লন্ডনে চিকিৎসার জন্য থাকলেও দেশের জনগণের জন্য সর্বাদা কাজ করে যাচ্ছেন। তারেক রহমান দিনের প্রায় ২০ ঘন্টা কাজ করেন। নেতাকর্মীরা কোথায় কি কাজ করছেন তা সর্বদা তিনি মনিটরিং করছেন বলে জানান প্রধান অতিথি।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা দেখে এই সরকারী ভীত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয় তারেক রহমানকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য এই বিনা ভোটের সরকার নিলনক্সা এঁকে ছিলেন। কিন্ত তাদের ষড়যন্ত্র সফল না হওয়ায় এখন বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে দেশে আসতে দিচ্ছেনা।

অথচ এই সরকার প্রধানের ছেলে থেকে শুরু করে নেতাকর্মী, এম.পি, মন্ত্রী, আমলা ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দূর্নীতি ও অর্থ আত্মস্বাত করলে ও তাদরে বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ নিতে পারছেনা। কারন এই সরকার নিজেই দূর্নীতি মানে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। নিজের দুর্নীতি পরায়ন হয়ে অন্যদের কিভাবে তিনি দমন করবেন।
তিনি আরো বলেন, এ্ই সরকার সীমাহীন দুর্নীতি করলেও তাদের কোন বিচার হচ্ছেনা। অথচ কোন দুর্নীতি না করে বেগম জিয়াকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। তাঁকে বিশেষভাবে জামিন দিলেও এক প্রকার কারাগারেই রেখেছে এই সরকার। কারন তাঁকে কোন কাজ করতে দেয়া হচ্ছেনা। বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশ্বর্ত মুক্তি দাবী করেন তিনি ।

বক্তব্য শেষে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ তাঁর পরিবারের মৃত সদস্য, সকল মৃত মুসলিম ব্যক্তির আত্মার মাগফেরাত ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সব শেষে দুস্থ্য ও অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন তারা।

স/আ.মি