রাজশাহীর সেই শিশু হাফসা ভালো আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২৩ দিনের হাফসাকে বাঁচাতে মায়ের প্রাণান্ত আকুতির ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সর্বত্র। গুরুত্ব বিবেচনায় যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ছবিটি ছাপা হয় গত ২৭ জুন। মা রেশমা সন্তান হাফসাকে বাঁচাতে নিজের মুখ দিয়ে কৃত্রিম শ্বাস দিতে দিতে শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দিকে ছুটছিলেন।

এদিকে পত্রিকায় প্রকাশের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠকদের অনেকেই শিশু হাফসার সর্বশেষ অবস্থা জানতে রাজশাহীর সাংবাদিকদের কাছে ফোনে খোঁজ নেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, শিশু হাফসা এখন সুস্থ আছে ভালো আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার নগরীর বোয়ালিয়া থানার বোয়ালিয়া পাড়ার বাসিন্দা সজল-রেশমা দম্পতির সন্তান শিশু হাফসার বয়স ২৩ দিন। শনিবার হঠাৎ করেই হাফসার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ওই সময় কোনো উপায়ন্তর না দেখে বাবা-মা হাফসাকে নিয়ে ছুটেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

শ্বাস নিতে হাফসার তীব্র কষ্ট হওয়ায় মা রেশমা নিজের মুখ সন্তানের মুখে দিয়ে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করছিলেন। জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পরপরই কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিকভাবে হাফসাকে অক্সিজেন দিতে শুরু করেন। দ্রুত ভর্তি করেন ২৪ নং শিশু ওয়ার্ডে। শ্বাসকষ্ট কমাতে দেওয়া হয় নিয়মিত ওষুধ। শেষ পর্যন্ত হাফসার শ্বাসকষ্ট কমে আসে। ওইদিনই রাতে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আরও জানান, শনিবার সকালে হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় শিশু হাফসার। এক পর্যায়ে শিশুটি নিথর হয়ে পড়ে। মা রেশমা বিষয়টি বুঝতে পেরে মুখ দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাস দিতে দিতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়। মায়ের বুদ্ধিমত্তা আর চিকিৎসক-নার্সদের তাৎক্ষণিক উদ্যোগে নতুন জীবন ফিরে পায় শিশুটি।

তিনি আরও জানান, শিশু হাফসা এখন ভালো আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।