রাজশাহীর বাজারে ঝাঁজ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজ ও রসুন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজ ও রসুন। চার থেকে পাঁচ দিনের ব্যবধানে কেজিতে আট থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে পেঁয়াজের থেকে রসুনে দাম তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। ক্রেতারা বলছে, রমজানের অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের। তবে বিক্রেতারা বলছে, রজমান নয় পেঁয়াজ গুদামজাতের জন্য দাম বেড়েছে। এদিকে, হঠাৎ করে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বাড়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর মাস্টারপড়া পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। তবে গত ১০ দিন আগে পেঁয়াজ ৩০ ও রাসুন ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজশাহীর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আফাজ বলেন, পেঁয়াজের দাম সাধারণত গুদামজাতের কারণে বাড়ছে। এছাড়া গত সপ্তার চেয়ে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে কেজিতে। আর ১৯০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ ক্রেতা রাসেল মাহমুদ বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে পেঁয়াজ ৩০ টাকা ছিলো। ব্যবসায়ীরা রোজার অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। প্রতি বছরই পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবৃত্ত পরিবারের মানুষদের অনেক সমস্যা হয়।

রসুন বিক্রেতা আফাজ আলী বলেন, পেঁয়াজের চেয়ে রসুনের দাম বেশি বেড়েছে। প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পাইকারি ব্যবসা করি। আরো বড় বড় ব্যবসয়ীরা আছে, তারা দাম বাড়ায়। বেশি দামে কিনি, বেশি দামে বিক্রি করি।

রসুন ক্রেতা হাসনা বানু বলেন, রোজা আসলে ব্যবসায়ীরা জিনিসের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু করে। রোজায় পেঁয়াজ, রসুন, বেগুন, শসা এগুলোর দাম এমনিতেই বেড়ে যাবে। সরকারের মন্ত্রীরা বলেন সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে, রমজানের দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক থাকবে। দামতো ঠিকই বাড়ে।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর বাজার মনিটরিং করা হয় না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু রোজা আসলে নামে কয়েকদিন অভিযান চালানো হয়। কিছু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়। রোজা শেষ অভিযানও শেষ।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ব্যবসায়ী নেতা সাদরুল ইসলাম বলেন, আমদানি কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশে যে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় অনেকইটাই কম। আমদানি করা পেঁয়াজের কারণে বাজারে দাম সহনশীল থাকে। আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম কমবে।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, বাজার মনিটরিং বিষয়ে রমজান মাসে ঢাকা থেকে নির্দেশনা আসবে। এছাড়া পুরো রমজান মাসজুড়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে রাজশাহীর বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের দাম বাড়ার কারণে জানতে চাইলে তিনি জানাতে পারেন নি।

 

স/আ