রাজশাহীতে ৩৩ লাখ টাকা ছিনতাই, আটক তিন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর অলকার মোড়ে দিন-দুপুরে ৩৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা বালিয়া পঞ্চিম পাড়া সেন পুকুর এলাকার আব্দুল ওহাব ভিলা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ভিভো শো-রুমের কর্মচারী নগরীর নওদাপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান ফয়সাল ও গোদাগাড়ীর পলাশি এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে জাফর ইকবাল ও নগরীর নওদাপাড়া এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে তাইজুল ইসলাম ডলার। তারা স্বীকারোক্তি ছিনতাই হওয়া ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। সাজানো ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রচার করে এই টাকাগুলো তারা আত্মসাতের চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলেও স্বীকারোক্তি দেন আটক হওয়া তিনজন।

আটককৃতরা হলো, ভিভো শো-রুমের কর্মচারী নগরীর নওদাপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান ফয়সাল ও গোদাগাড়ীর পলাশি এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে জাফর ইকবাল ও নগরীর নওদাপাড়া এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে তাইজুল ইসলাম ডলার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছিনতাইয়ের শিকার দুই কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, অলোকার মোড়ের ভিভো নামের একটি মোবাইল শো-রুম থেকে টাকা নিয়ে দু’জন কর্মচারী ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় দু’জন কর্মচারী টাকা নিয়ে ব্যাগ কাঁধে করে পায়ে হেঁটে রাস্তার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন আরোহী একজনের ডান কাঁধে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। ছিনতাইয়ের শিকার দুই কর্মচারী মোটরসাইকেল চালকদের পেছন পেছন ধাওয়া করেন। তবে তার আগেই তারা পালিয়ে যায়।

মোবাইল শো-রুমের মালিক রিঙ্কু হোসেন জানান, মোট ৩৭ লাখ টাকা নিয়ে দুই কর্মচারী দোকান থেকে এক মিনিটের হাঁটাপথ ডাচ বাংলা ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। এর মাঝখানেই এই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। তবে ছিনতাইকারীরা ফয়সাল নামের এক কর্মচারীর কাঁধের ব্যাগে রাখা ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। একজন কর্মচারী ওই ব্যগটি কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আরেকটি ব্যাগে ছিলো ২ লাখ টাকা। সেই ব্যাগটি নিতে পারেনি।

বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘এতো বড় একটা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি নিয়ে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তবে ঘটনাটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে আমাদের। কারণ ঘটনাস্থল থেকে ব্যাংকের দূরুত্ব পায়ে হেঁটে গেলেও মাত্র এক মিনিট। সেই পথে দুই কর্মচারী টাকা নিয়ে ফুটপাথ ধরে না গিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে কেন গেলো-এটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আবার মোবাইল শো-রুমের দুই মালিক এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস নিয়েও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।’

ওসি আরও বলেন, ‘টাকার ব্যাগটি ডান পাশের কাঁধে ছিল। অথছ বাম পাশেই নেওয়া যেত। আবার একশ টাকার নোটের দুই লাখ টাকার ব্যাগটি ছিনতাই হলো না। হলো শুধু ৩৫ লাখের টা। আবার গত এক সপ্তাহে এই মোবাইল শো-রুমটি এক কোটি টাকার বেচা-কেনা করেছে বলে হিসেব দিয়েছে। যাও সন্দেহজনক। এতো টাকার ব্যবসা রাজশাহীতে হয় বলে আমাদের সন্দেহ ছিল। তারই সূত্র ধরে কর্মচারী সোহেল ও ফয়সালকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ কেরে টাকাগুলো তারা আত্মসাতের জন্য এ নাটক সাজায় বলে স্বীকার করে। এরপর অভিযান চালিয়ে ডলারকে ৩২ লাখ টাকাসহ আটক করা হয়।’

আরো পড়ুন…

রাজশাহীতে ব্যস্ততম রাস্তায় ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাই নিয়ে সন্দেহ, দেখুন ভিডিও