রাজশাহীতে রাতভর বিলের মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয় যুবক স্বপনকে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী নগরীতে যুবককে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ওই যুবকের নাম স্বপন (৩৬)। তিনি নগরীর খড়খড়ি এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার সকালে নগরীর খড়খড়ি বাইপাশ এলাকার গ্যাস পাম্পের পাশে রাস্তার ধার থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন, উজিরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর, মতিউর রহমান ও শামীম বিলের মধ্যে স্বপনকে পিটিয়ে হত্যা করে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে থেকে তাকে উজিরপুর বিলের মধ্যে স্বপনকে ধরে পেটাতে থাকে। এছাড়াও স্বপনকে ছুরি দিয়েও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। তার বাম হাতে কাটা চিহ্ন রয়েছে। সেখানে ব্যান্ডেজ করা ছিলো। পরে রাতের কোনো একসময় মারা গেলে স্বপনকে কচুয়াতৈল এলাকায় বাইপাশ রাস্তার ধারে লাশ ফেলে রেখে চলে যায় ওই দুর্বৃত্তরা।

জানা গেছে, স্বপন ঢাকা একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। করোনার কারণে চাকরি হারিয়ে গত রোজার ঈদের কয়দিন আগে ঢাকা থেকে চলে আসেন। এরপর ঢাকায় যাননি। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার রাতে কে বা কারা তাকে হত্যা করে লাশ খড়খড়ি বাইপাশের ধারে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে গেছে।

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনির বলেন, ‘লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। হাত-পা বাধা ছিলো। স্থানীয় দ্বন্দ্বের জের ধরে তাকে হাত-পা বেধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ ফেলে রাখা হয় বাইপাশের ধারে। তার হাতে ছুরি দিয়ে কাটার চিহ্নও রয়েছে।’

আরও পড়ুন:

রাজশাহী নগরীতে যুবককে হত্যা, হাত-পা বাধা লাশ পড়েছিলো বাইপাশের ধারে

স/আর